Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

16kখোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৩ জুন ২০১৬: আলোচিত ১৪২ তলা ‘আইকনিক টাওয়ার’ স্থাপনের চুক্তি পিছিয়ে গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রোববার আনুষ্ঠানিকতা সারা সম্ভব না হলেও শিগগিরই এ চুক্তি হবে।
ঢাকার অদূরে পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে ওই টাওয়ার নির্মাণের জন্য রোববার বিকেল পৌনে ৪টায় অর্থমন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কেপিসি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল।
কেপিসি গ্রুপের কর্ণধার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কালী প্রদীপ চৌধুরী চুক্তির জন্য একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকাতেও এসেছিলেন।
কিন্তু বেলা আড়াইটার দিকে অর্থমন্ত্রীর দিনের কার্যসূচি থেকে চুক্তি স্বাক্ষরের কর্মসূচি ‘অনিবার্য কারণে’ বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং (মতামত) না আসায় শেষ মুহূর্তে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে।”
কেপিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান কালী প্রদীপ চৌধুরী রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
“শিগগিরই এ চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তখন তিনি আবার ঢাকায় আসবেন।”
দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ উচ্চতার ওই টাওয়ার নির্মাণের জায়গা এরইমধ্যে ঠিক করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; তৈরি হয়েছে নকশাও।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কেপিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান কালী প্রদীপ চৌধুরী ভবনটি নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে কেপিসি গ্রুপের পক্ষে অর্থমন্ত্রী ১০০ একর জায়গার ওপর মূল ভবনসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাগুলো নির্মাণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় নভেম্বর মাসে পূর্বাচলের সিবিডি অংশে ওই জায়গা দিতে রাজি হয়।
রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন, ওই ভবনে আন্তর্জাতিক কনভেনশন, এক্সিবিশন সেন্টারসহ হোটেল, থিয়েটার ও শপিং মল থাকবে। টাওয়ার ঘিরে তৈরি হবে আরও কয়েকটি ছোট-বড় ভবন এবং নান্দনিক স্থাপনা।
উচ্চতার দিক দিয়ে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি হচ্ছে দুবাইয়ের ১৬৫ তলার বুর্জ আল খলিফা। পূর্বাচলের আইকনিক টাওয়ার নির্মিত হলে তা হবে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ।
এ টাওয়ার নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা (১.২ বিলিয়ন ডলার)।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করেছেন, সেখানে তিনি এ প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, “আমি আমার একটি স্বপ্নের কথা বলতে চাই। আমার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রবৃদ্ধি সঞ্চালক ও জনবান্ধব একটি প্রকল্প সম্পর্কে সবাইকে বলব।
“আপনারা জানেন, পূর্বাচল ও এর নিকটস্থ এলাকা নিয়ে একটি স্বতন্ত্র মহানগর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ মহানগরে পিপিপির আদলে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি।”
২০১৮ সালে এই প্রকল্প শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।