Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

12খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০১৬: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে মাথা না ঘামাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পরামর্শ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে বিদেশিদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে কোনো আইএস নাই। কোনো জঙ্গি বা আল কায়দা নেই।
“যদি থেকে থাকে আপনাদের ওখানে আছে। দেখেন না টুইন টাওয়ারে আল কায়দা মেরেছে। এখন আইএসও ‍মারছে। অভ্যন্তরীণ ব্যাপরে কোনো হস্তক্ষেপ আপনারা করবেন না।”
বাংলাদেশে গত এক বছরে লেখক, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট,সমকামী অধিকারকর্মী, বিদেশি হত্যাকাণ্ডের অধিকাংশ ক্ষেত্রে আল কায়দা বা আইএসের নামে দায় স্বীকারের বার্তা আসে।
আন্তর্জাতিক এই জঙ্গি গোষ্ঠী দুটির কোনো তৎপরতা বাংলাদেশে নেই বলে সরকার দাবি করলেও তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ই্উরোপের বিভিন্ন দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাম ধরে শেখ সেলিম বলেন, “সংসদে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি। আমাদের নিয়ে আর চিন্তা করবেন না। আপনাদের নিজেদের সমস্যার সমাধান আপনারা করেন। এদেশের সমস্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ১৬ কোটি মানুষ সমাধান করবে।”
এর মধ্যেই গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডোতে এক মুসলিম বন্দুকধারীর গুলিতে ৫০ জন নিহত হওয়ার পর আইএস তাকে নিজেদের যোদ্ধা বলে দাবি করে। তবে ওই ব্যক্তির আইএস সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত নয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি।
তার আগে গত বছর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের চারটি স্থানে এক যোগে হামলায় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন। ওই হামলার দায়িত্বও আইএস স্বীকার করে।
শেখ সেলিম বলেন, “কথা নাই, বার্তা নাই, বলছেন এখানে আইএস থাকতে পারে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছেন।
“প্যারিসে এত লোক মারা গেল, বেলজিয়ামে মারা গেল। এগুলো আপনারা দেখেন না? এখন আমেরিকায় মারা গেছে, আইএস স্বীকার করছে। আর আমাদের এখানে আইএসের গন্ধ পান?”
একাত্তর পাকিস্তানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ সেলিম বলেন, “১৯৭১ সালে আমাদের নিয়ে আপনারা বহু চিন্তা করেছেন। একাত্তরে আপনারা যা করেছেন, তার জন্য আপনারা এখনও ক্ষমা চাননি।”
এখন যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতদের পক্ষে ওয়াশিংটনের সুপারিশের কথাও তুলে ধরেন ক্ষমতাসীন দলটির এই নেতা।
“যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় নারী শিশু হত্যা করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন, সেই জামাতে ইসলামীকে বাঁচানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে চাপ প্রয়োগ করেছেন। বিচার কার্যকর না করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিবও ফোন করেছেন।”
“আমাদের কোনো বিষয় নিয়ে আপনাদের সুপারিশ করার দরকার নেই। আপনারা আপনাদের দিকে তাকান। আপনাদের ওখানে এখন কী হচ্ছে। গত পরশুও আপনাদের ওখানে জঙ্গি আইএস মিলে ৫০ জন লোককে একসাথে হত্যা করেছেন।”