খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৫ জুন ২০১৬: ওরস্যালাইন প্রপার (যথার্থ) না হলে মানুষ মারা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ বুধবার ২০টি প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদন বন্ধে দেওয়া হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানির একপর্যায়ে আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন।
এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচরাপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
শুনানিতে ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘হাইকোর্ট উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ সরকার কোম্পানিদের একটি শোকজ দিয়েছে। এটা একটা প্রসেসের (প্রক্রিয়ার) মধ্যে আছে। ওখানে লাইসেন্স ক্যানসেলের (বাতিল) কথা উল্লেখ আছে।’
এ সময় আদালত বলেন, ‘লাইসেন্স ক্যানসেল আর উৎপাদন বন্ধের মধ্যে তফাৎ কী?’
জবাবে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘লেট আস সি। সরকার কোম্পানিদের একটি শোকজ দিয়েছে। এটা একটা প্রসেসের মধ্যে আছে। ওখানে লাইসেন্স ক্যানসেলের কথা উল্লেখ আছে।’
এ সময় আদালত বলেন, ‘এটা (ওষুধ) এমন একটা জিনিস। যেটা মানুষেরৃ।’ জবাবে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা শুধু ওরস্যালাইন উৎপাদন করি।’
এর জবাবে আদালত বলেন, ‘এটা তো আরো বেশি সমস্যা। ওরস্যালাইন প্রপার না হলে মানুষ মারা যাবে। এখন আপনারা হাইকোর্টে যান, পার্টি হয়ে শুনানি করেন। আপনাদের শোকজ করার আগে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল। ওষুধ কোম্পানি তো অনেক। শুধু আপনারা আসছেন। আর কেউ তো আসেনি।’
জবাবে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আরো অনেকে এসেছে তো।’ তখন আদালত বলেন, ‘যান হাইকোর্টে যান। ওখানে রুল শুনানি করেন।’
এরপর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ১৮ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্টে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। এ ছাড়া ২০টি ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।