খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৫ জুন ২০১৬: রংপুর : বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাসমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রংপুরে পীরগাছা উপজেলা শাখার উদ্যোগে ”অপসংস্কৃতি, যাত্রার নামে অশ্লীলতা, মাদক, জুয়ার সামাজিক প্রভাব ও প্রতিরোধে আমাদের করণীয়”-শীর্ষক মত বিনিময় সভা মঙ্গলবার পীরগাছার আরাজী ঝিনিআ গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট পীরগাছা উপজেলার সংগঠক লিপি রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পীরগাছা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওয়াজেদ আলী সরকার, সহকারী প্রধান শিক্ষক পীযূষ কান্তি বর্মন, নারীমুক্তি কেন্দ্র রংপুর জেলার সভাপতি প্রভাষক আরশেদা খানম লিজু, বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রংপুর জেলার সভাপতি আহসানুল আরেফিন তিতু, নারীমুক্তি কেন্দ্র রংপুর জেলার দপ্তর সম্পাদক কামরুন্নাহার খানম শিখা, ছাত্র ফ্রন্ট রংপুর জেলার পাঠাগার সম্পাদক আবু রায়হান বকসী, অন্তরা বর্মন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, সারাদেশে মানুষের জীবনে নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। তার মধ্যে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে। পাহাড় থেকে সমতল, গৃহ থেকে উৎসব স্থল, স্কুল থেকে ব্শ্বিবিদ্যালয়, মাইক্রোবাস-সিএনজি থেকে গণপরিবহন, এমনকি ক্যান্টনমেন্টের মতো তথাকথিত সুরক্ষিত এলাকা সর্বত্রই নারী যৌন হয়রানি, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যা ও খুনের শিকার। অর্থাৎ ঘরে-বাইরে বিবেকবর্জিত মানুষরুপী দুর্বৃত্তদের তান্ডবে ক্ষত-বিক্ষত নারী। পূঁজিবাদ ভোগবাদকে উস্কে দিয়ে আজ মানুষকে এই পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। শরৎচন্দ্র বলেছিলেন “মানুষকে পশুর স্তরে না নামালে তাকে দিয়ে পশুর কাজ করানো যায় না”। তাহলে কি মানব সমাজ পশুর সমাজে পরিণত হবে? বিবেকবান মানুষকে আজ এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে।
বক্তারা ,ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নৈতিক দিক থেকে প্রতিরোধের শক্তিকে জোরদার করার জন্য সর্বস্তরের বিবেকবান মানুষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। সেই সাথে অপরাধী ও মদদ দাতাদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহবান জানান।