খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৫ জুন ২০১৬: ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে ঈদকে ঘিরে পুলিশের চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। মোটরসাইকেল, ট্রাক, ইঞ্জিন চালিত থ্রি-হুইলারসহ বিভিন্ন গাড়ির চালকদের কাছ টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,
গত শুক্রবার ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ডিএম কলেজের পাশে কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে অবৈধ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন শৈলকুপা উপজেলার কচুয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তুহিন। এ সময় বিভিন্ন গাড়ির চালকদের কাছ থেকে তিনি চাঁদা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেন। এ সময় গাড়ির চালকদের সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র থাকলেও তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার, শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমনকেও টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার চিত্র দেখা গেছে গত শুক্রবার।
মোটরসাইকেল সাইকেল চালক শরিফুল ইসলাম জানান, আমার মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজ আছে। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এই মর্মে তিনি আমাকে মামলা দিতে পারেন। কিšু‘ গাড়ি আটকিয়ে রাখতে পারেন না।
ট্রাকের ড্রাইভার আলাউদ্দিন জানান, আমার সব কাগজপত্র ঠিক ছিল। তবুও আমার কাছ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।
থ্রি-হুইলার ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম জানান, আমি ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলাম। এ সময় পুলিশরা আমার গাড়ি থামায়। এরপর গাড়ি থানায় নিয়ে আটক করা হবে বলে জানায় পুলিশের এসআই তুহিন। আমাকে বলে ৫০০ টাকা দিলে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে। শেষমেষ ১০০ টাকার মাধ্যমে আমার গাড়ি ছেড়ে দেয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে কচুয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তুহিন জানান, আমি কোন টাকার লেনদেন করি নাই। এসপি স্যারের নির্দেশে আমি যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। এছাড়া তেমন কিছুই হয়নি। এছাড়া তিনি বলেন, আপনি কিছু না জেনে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করবেন না।