Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

12kখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০১৬: গত বছরের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদ রশীদ টুটুল ও শাহবাগে জাগৃতি প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল উঠতি বয়সী ৫ যুবক। মাত্র দেড় মাসের মোটিভেশন ও ট্রেনিং শেষে অপারেশনে পাঠানো হয়েছিল তাদের। দুটি হত্যাকাণ্ডে পৃথকভাবে দুজন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
এরআগে, বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর থানাধীন ফুট ওভারব্রীজ এলাকা থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সামরিক শাখার সদস্য শিহাব ওরফে সাকিব ওরফে সাইফুল ওরফে সুমন পাটোয়ারিকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি দক্ষিণের একটি দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিহাব জানায়, শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদ রশীদ টুটুলসহ তিনজনের উপর হামলায় অংশগ্রহণ করেছিল সে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের একটি কলেজ থেকে এসএসসি পাশের পর সে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরি নেয় শিহাব। গত বছরের প্রথম দিকেই সে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
এরপর চলে মোটিভেশন। টুটুলকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার ঠিক দুমাস আগে ঢাকার মহাখালীর একটি বাসা ভাড়া নেয় শিহাবসহ আনসারুল্লাহর আরও ৪ সদস্য। সেখানে দেড় মাস তাদের ট্রেনিং দেয়া হয়। ট্রেনিংয়ে কীভাবে চাপাতি চালানো হবে সেসব শিক্ষা দেয়া হয়।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, শিহাবসহ মোট ৫ জনের সামরিক প্রশিক্ষক ছিলেন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রশিক্ষণ ও অপারেশন্স বিভাগের প্রধান শরীফ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিহাব জানায়, শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদ রশিদ টুটুলকে হত্যাচেষ্টায় সরাসরি অংশগ্রহণ করে শিহাব। সে নিজে চাপাতি দিয়ে তিনটি কোপ দিয়েছিল। কিন্তু টুটুল প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে তিরস্কার করা হয়। ভবিষ্যতে তার ক্ষতি হতে পারে বলেও জানানো হয়।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, শরীফের নেতৃত্ব ও সমন্বয়ে টুটুলের উপর হামলা চালানো হয়। তবে সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকে পাশে অবস্থান নিয়েছিল। একইভাবে শাহবাগে দীপন হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরেক নেতা লজিস্টিক ইউনিটের প্রধান সেলিম।
মনিরুল ইসলাম সেলিম ও শরীফকে খুবেই ধূর্ত ও দুর্র্ধষ আখ্যা দিয়ে মনিরুল বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তৃতীয় পর্যায়ের নেতা তারা। জসিম উদ্দীন রাহমানি তাদের আধ্যাত্মিক গুরু। এরপর সামরিক প্রধান। এরপরেই সেলিম ও শরীফের অবস্থান। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে অনেক হত্যার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার শিহাব চট্টগ্রামে বসবাস করলেও তার নিজ জেলা চাঁদপুর। শিহাব অন্যান্য ব্লগার ও অন্য কোন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার শিহাবকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।