খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০১৬: বিয়ের পরদিনই শ্বশুরবাড়ি থেকে পালাল বউ। চুরি করে নিয়ে গেল সোনাদানা, টাকাপয়সাসহ মূল্যবান জিনিস। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সিরসা ইন্দ্রপুরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২০ মে সিরসা ইন্দ্রপুরীর বাসিন্দা তিলকরাজের সঙ্গে বিয়ে হয় পানিপথ এলাকার বাসিন্দা চাঁদনির। অবশ্য এ বিয়েতে পণ হিসেবে তিলকরাজ নগদ এক লাখ রুপি নেয় চাঁদনির পরিবারের কাছ থেকে। কিন্তু বিয়ের এক রাত যেতে না-যেতেই পণের টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যায় চাঁদনি।
হিন্দুশাস্ত্রের প্রথা মেনে তিলকরাজ ও চাঁদনির বিয়ে হয়। বিয়ের পর নববধূ চাঁদনিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন তিলকরাজ। একদিন স্বামীর ঘরও করে চাঁদনি। কিন্তু পরদিনই স্বামীর বাড়ি থেকে সোনাদানা, গহনাগাঁটি, টাকাপয়সা নিয়ে পালিয়ে যায় চাঁদনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্বশুরবাড়িতে এসে দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যাবেলা বাড়ির সবাইকে চা খেতে দেয় চাঁদনি। ওই চায়ের সঙ্গে মদ মিশিয়ে শ্বশুরবাড়ির সবাইকে খেতে দেয় সে। এর পর রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ে সবাই। পরদিন ঘুম ভাঙতেই বাড়ির লোকেরা দেখেন, সোনার গহনাগাঁটি, টাকাপয়সা নিয়ে নববধূ চাঁদনিও উধাও।
তিলকরাজের পরিবারের সদস্যরা জানান, চুরির ঘটনার পর পানিপথে চাঁদনির বাড়িতে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়েই ভুল ভাঙে সবার। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, চাঁদনির পরিবার যে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল, সেই বাড়ি ফাঁকা। সেখান থেকে তারা অন্য কোথাও চলে গেছে। তারা কোথায় গেছে, তা কেউই জানে না। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিয়ের নামে ফাঁদ পাতাই চাঁদনি ও তার পরিবারের মূল ব্যবসা। নাম পাল্টিয়ে বহুবার বিয়ে করেছে চাঁদনি। এরপর শ্বশুরবাড়িতে কয়েক দিন থেকে সেখান থেকে যাবতীয় জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। এটাই তাদের মূল ব্যবসা।
পুলিশ জানিয়েছে, চুরির ঘটনায় চাঁদনি ও তার বাবা পাপ্পু খানসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। অভিযুক্তদের খোঁজে এরই মধ্যে তল্লাশি অভিযানও শুরু করেছে পুলিশ।