খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১৮ জুন ২০১৬: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। ২০১৯ সালের একদিন আগেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়বে না।
আজ শুক্রবার বিকেলে পাবনার হেমায়েতপুরে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবক ও অফিস সহকারী নিত্যরঞ্জন পাণ্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভয় দেখিয়ে, আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে, মানুষকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে চায়। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। ২০১৯ সালের একদিন আগেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়বে না। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
নিত্যরঞ্জন পাণ্ডের খুনিদের উদ্দেশে ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খুনিরা যেখানেই থাকুক, তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে নাসিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে খুন হলে আপনি নিন্দা জানান, আর বাংলাদেশে খুন হলে আপনি নিন্দা জানান না। কারণ খুনিরা আপনার লোক, যদি আপনি সৎ হন তাহলে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে সুষ্ঠু রাজনীতির পথে ফিরে আসবেন।
পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালোর সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল রহিম লালের সঞ্চালনায় সৎসঙ্গ আশ্রম মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বিমল বিশ্বাস, সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণ-আজাদী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতাউল্লাহ খান, ন্যাপের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শফিউদ্দিন মোল্লা, গণতান্ত্রিক পার্টির নেতা মাহমুদুর রহমান বাবু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার কমিটির উপসম্পাদক অসীম কুমার উকিল, পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর, চন্দন চক্রবর্তী, গণেশ চন্দ্র ঘোষ, আনন্দ মোহন দাস, ড. রবীন্দ্রনাথ সরকার প্রমুখ।
গত ১০ জুন শুক্রবার সকালে পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবক ও অফিস সহকারী নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই রাতেই শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক যুগল কিশোর ঘোষ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।