Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন মীর কাসেম4খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৯ জুন ২০১৬: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলী ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন দাখিল করেছেন।
মীর কাসেমের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য গাজী এম এইচ তানিম জানান, রোববার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদনটি দাখিল করেন মীর কাসেম।
মীর কাসেমের ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম জানান, মোট ৬৮ পৃষ্ঠার আবেদনে ১৪টি কারণ দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়েছেন মীর কাসেম।
এর আগে গত ৬ জুন মীর কাসেমের ২৪৪ পৃষ্ঠার ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
নিয়মানুযায়ী, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান এই রায়ের কপিতে স্বাক্ষর করার পর তা প্রকাশ করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ৬ জনকে নির্যাতন করে হত্যার দায়ে মীর কাসেমের ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে গত ৮ মার্চ রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিল বিভাগের সপ্তম রায় এটি।
আপিল বিভাগে যুদ্ধাপরাধ মামলায় এর আগে ছয়টি রায়ের মধ্যে চারটিতে জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, দলটির সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আপিল বিভাগের আরেক রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে সেই রায়ের রিভিউ এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। অপরদিকে আপিল বিভাগের রায়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীরও ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
এ ছাড়া শুনানি চলার মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াতের আমির গোলাম আযম ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের মৃত্যু হওয়ায় তাদের আপিলের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে বেকসুর খালাস চেয়ে আপিল করেন মীর কাসেমের আইনজীবীরা। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা জসিম ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে হত্যার দায়ে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া ২ নম্বর অভিযোগে ২০ বছর, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে সাত বছর করে এবং ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। অপরদিকে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ থেকে মীর কাসেমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।