খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৯ জুন ২০১৬: মেক্সিকো যদি শতবর্ষী কোপার শিরোপাটি জিততে পারতো তবে তাদের ইতিহাসে সেটাই ছিল প্রথম। সেই স্বপ্ন চিলি পূরণ হতে দেবে না এমনটা অনুমিতই ছিল। কিন্তু ‘সি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা দেশটিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এভাবে বিধ্বস্ত করবে সেটা ভাবতে পারেনি কেউই। রোববার বাংলাদেশ সময় সকালে শুরু হওয়া ম্যাচটিতে মেক্সিকোকে ৭-০ গোলে হারিয়ে সেমি ফাইনালের টিকিট কেটেছে চিলি।
চিলির এমন দাপুটে জয়ের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছেন এডুয়ারদো ভারগাস। ২৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড নিজ দেশের আধিপত্যের দিনে একাই করেছেন চারটি গোল। শুরুটা করেন বিরতির বাঁশি বাজার এক মিনিট আগে। তার পা থেকে বাকি তিনটি গোল আসে ৫৩, ৫৮ ও ৭৪তম মিনিটে। ১৬ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলেন এডসন পুচ। শেষটাও করেন তিনি। সমাপ্তির বাঁশি বাজার দুই মিনিট আগে নিজের দ্বিতীয় ও দলের সপ্তম গোলটি করেন তিনি। ৪৯তম মিনিটে অপর গোলটি করেন অ্যালেক্স সানচেজ।
রোববার সান্তা ক্লারার লেভি’স স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই নিজেদের দাপট ধরে রাখে চিলি। ১৬তম মিনিটে মেক্সিকান গোলরক্ষক তার দায়িত্ব ঠিকই পালন করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত বল পেয়ে যান পুচ। দলের হয়ে প্রথম গোলটি আদায় করে নেন কুইটোর এই মিডফিল্ডার।
ভারগাস ঝড় শুরু হয় ৪৪ মিনিটের মাথায়। মেক্সিকান ডি বক্সের বাঁ দিক থেকে ক্রস করেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড সানচেজ। সেটি লুফে নিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ কিছু বুঝে ওঠায় আগেই বল জালে পাঠিয়ে দেন ভারগাস।
৪৯তম মিনিটে সানচেজ আর আর্তুরো ভিদাল ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের বিপদজনক এলাকায়। নিজেদের মধ্যে বল দেয়া নেয়া করতে করতেই লক্ষ্যভেদ করেন সানচেজ।
চার মিনিট বাদেই মেক্সিকো শিবিরে ফের হানা দেন ভারগাস। সানচেজের পাস থেকে জোরাল শটে বল জালে ফেলেন তিনি। ৫৮তম মিনিটে কনকাকাফের এই ফরোয়ার্ড নিজের হ্যাটট্রিকটি পূর্ণ করলে দিশেহারা হয়ে পড়ে মেক্সিকো। এবারো গোলরক্ষক তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ফের ভাগ্য সহায় না হওয়ায় বল পেয়ে যান ভারগাস। গোল করেন আরো একবার।
৭৪তম মিনিটে ক্রস করেন মার্ক গনজালেস। পুচ খুব একটা জোরাল শট নিতে পারেননি। গোলরক্ষক সেটি প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও বল পেয়ে একেবারে ডানপাশের কোণ থেকে করা ভারগাসের শটটি কারো পক্ষেই আটকানো সম্ভব ছিল না।
৮৮ মিনিটের মাথায় ভিদালের কাছ থেকে পাস নিয়ে গোলরক্ষকের মাথা উপর দিয়ে বল জালে ফেলে মেক্সিকোর কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন পুচ।
দুর্দান্ত এই জয়ের মধ্য দিয়ে শিরোপা নিজেদের ঘরে রেখে দেয়ার লক্ষ্যের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে গেল চিলি। আগামী ২৩ জুন সেমিফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায় শিকাগোর মাটিতে তারা মুখোমুখি হবে কলোম্বিয়ার। আগের দিন ভোর সাতটায় অপর সেমি ফাইনালে আর্জেন্টিনা খেলবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে।