খোলা বাজার২৪ সোমবার, ২০ জুন ২০১৬: ড্র হলেই চলে, এমন সমীকরণ নিয়েই মাঠে নামে ফ্রান্স। আগেই দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ফ্রান্সের কোনোভাবেই না হারলেই চলত। এমন স্বস্তি নিয়ে মাঠে নামলেও অনবরত গ্রিজম্যান-জিনিয়াক-পগবাদের আক্রমন ক্লান্ত করে তুলেছিল সুইস রক্ষনভাগকে। সে তুলনায় সুইজারল্যান্ডকে নিজেদের রক্ষণভাগ সামলাতে হিমসিম খেতে হয়েছে।
তবে, সুইজারল্যান্ডের জন্য এই ম্যাচে জয় পাওয়া জরুরী ছিল। কারণ ফ্রান্সকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেই শেষ ষোলোতে এড়ানো যেত জার্মানি কিংবা পোল্যান্ডকে। আবার হারলেই তৃতীয় হওয়ার ঝুঁকি ছিল। তখন তাকিয়ে থাকতে হতো অন্য গ্রুপ গুলির দিকে।
ম্যাচের ৭ মিনিটেই সুযোগ পেয়ে যায় সুইসরা। ফ্রেঞ্চ ডি-বক্সে উড়ে আসা বলটিতে ব্রিল এমবোলো পা ছোয়াতে পারলেই হত। কিন্তু মাটিতে পড়ে যান এই সুইস ফরোয়ার্ড। পল পগবা সে বল ধরতে গিয়ে উলটো আত্মঘাতি গোল দিতে বসেছিলেন। এর পর পরই ১২ ও ১৩ মিনিটে পগবার দুই দুইটি গোল থেকে নিজেদের রক্ষা করেন সুইস গোলরক্ষক সমার।
দ্বিতীয়ার্ধেও ফ্রান্সের আক্রমনের সামনে রক্ষণাত্মক হয়ে রইল সুইজারল্যান্ড। আগের দুই ম্যাচে শেষের জাদু দেখানো দিমিত্রি পায়েতকে নামিয়েও গোল পায়নি ফ্রান্স। গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয় ম্যাচ। এই ড্রতেই সুইসদের নিশ্চিত হলো প্রথমবারের মতো ইউরোর নকআউট পর্ব।
এদিকে, রাতের অন্য ম্যাচে অবশ্য ছড়িয়েছে অনেক নাটকীয়তা। লিওঁতে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই রোমানিয়া ঝাপিয়ে পড়েছিল আলবেনিয়ার ওপর। ফ্রান্স সুইজারল্যান্ডকে হারালে ও নিজেদের ম্যাচে জয় পেলেই গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার নিশ্চয়তা। এমন অনুপ্রেরণায় উজ্জ্বীবিত রোমানিয়া প্রথম ২০ মিনিট খেলেছেও দারুণ।
কিন্তু এরপরই ছন্দপতন ঘটে, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আলবেনিয়া। বার বার আক্রমনের ভয় দেখালেও ৪৩ মিনিটে গোলই করে বসে আলবেনিয়া। লেডিয়ান মেমুশাইয়ের ক্রসটি বুঝতে ভুল করেন রোমানিয়ার গোলরক্ষক চিপরিয়ান তাতারুশানু। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আলবেনিয়াকে গোল এনে দেন আরমান্দো সাদিকু।
দ্বিতীয়ার্ধে রোমানিয়া খেলায় ফিরে আসলেও গোল পায়নি। সাদিকুর গোলেই নির্ধারিত হয় ম্যাচের ফল। প্রথমবারের মতো খেলতে এসে আলবেনিয়ার এটা প্রথম জয়।তবে এই জয়ে শেষ ষোলোতে যেতে পারবে কি না সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ২২ তারিখ পর্যন্ত।