খোলা বাজার২৪ সোমবার, ২০ জুন ২০১৬: তাপস কুমার, নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া মাদ্রাসার শিক্ষিকা হাফেজ মুক্তিআরা (২৫) এর মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মুক্তিআরা বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে এবং আব্দুলপুর গ্রামের হাতেম আলী সরকারের ছেলে হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। শশুর বাড়ির লোকজন মুক্তিআরা আত্মহত্যা করেছে বলে জানালেও মুক্তির বাবা মোশারফ হোসেন অভিযোগ করেন মুক্তিকে হত্য করা হয়েছে ।
জানাগেছে ১১ জুন (শনিবার) বিকেলে মুক্তিআরা তার শশুর বাড়িতে ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পান তার বাবা মোশারফ হোসেন। লাশ নামিয়ে দয়ারামপুর এর একটি বেসরকারী ক্লিনিকে নিয়ে যায় মুক্তির শশুর বাড়ির লোকজন। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ে কোরআন এর আড়াই পারার হাফেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষক। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। তার লাশ কাটা ছেঁড়া না করার জন্য আমার কোন দাবি দাওয়া নেই বলে পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর মর্গে পাঠানো হয়’। তিনি জানান, মুক্তিআরার লাশের মাথার পেছনে ও মুখমন্ডলে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কয়েকদিন ধরে মেয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পরে জেনেছি তার মৃত্যুর তিন দিন আগে জামাই হাফিজুর মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়েছিল। তাদের স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। যেন রান্না করতে না পারে সে জন্য রান্নার চুলা পর্যন্ত ভেঙ্গে দিয়েছিল তার শাশুড়ি। ঘরের যে স্থানে ঝুলে মুক্তিআরা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে সেটাও রিতিমত সন্দেহ জনক। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তিনি আদালতের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
মুক্তিআরার ছুরত হাল রির্পোট প্রস্তুতকারি আব্দুলপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল মালেক জানান, মুক্তিআরার লাশের নাকের কাছে সামান্য দাগ ছাড়া আর কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়নি। লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে আত্মহত্যা কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এব্যাপারে লালপুর থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।