খোলা বাজার২৪ সোমবার, ২০ জুন ২০১৬: তাপস কুমার, নাটোর: ছাত্রলীগ কর্মীর রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করায় নাটোরের বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে বড়াইগ্রাম ছাত্রলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান জিন্নার বিরুদ্ধে। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বনপাড়া বাজারে প্রকাশ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে ছাত্রলীগ সভাপতি জিন্নাহ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও অভিযুক্ত বড়াইগ্রাম ছাত্রলীগের সভাপতি ও বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কেএম জাকিরের ছোট ভাই জিল্লুর রহমান জিন্নাহর বিরুদ্ধে আব্দুল খালেক নামে অপর এক পুলিশ কর্মকর্তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রোববার বিকালে বনপাড়া বাজারে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য লাইসেন্সবিহীন মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এ সময় একজন ছাত্রলীগ কর্মীর মোটরসাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় সেটি আটক করেন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। কিছুক্ষণ পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কেএম জাকির হোসেনের ছোট ভাই জিল্লুর রহমান জিন্নাহ মোবাইলে পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামকে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু তাতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম রাজি না হওয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান জিন্নাহ ১৫-২০ জন নেতা-কর্মীসহ সেখানে এসে উপস্থিত হন। এসময় উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রকাশ্যে জনসাধারনের মাঝে লাঞ্চিত করেন। এ সময় পুলিশ কনস্টেবলেরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও লাঞ্চিত করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। পরে পিক-আপে করে উপ-পরিদর্শক আশরাফ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেলটি নিয়ে চলে যান।
এ ব্যাপারে এসআই আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রেজিষ্ট্র্রিবিহীন মোটর সাইকেল আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু ছেড়ে দিতে রাজি না হলে তারা অশোভন অচরন করেন।
তবে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই দয়াল ব্যানার্জি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাকে লাঞ্চিত করেনি, গালি-গালাজ করেছে এবং মারার চেষ্টা করেছে বলে শুনেছি।
নাটোরের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুর্খার্জি জানান, ভুল বুঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে তা নিরসন হয়েছে।
এব্যাপারে বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান জিন্নাহ জানান, পুলিশের ওই কর্মকর্তা রেরিষ্ট্রেশন সহ মোটর সাইকেল আটক করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটেনি।