Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

5kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০১৬: যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হওয়া মাত্র আওয়ামী লীগের কর্মী হেমায়েত উদ্দিনকে (৩৮) গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার সন্ধ্যার পর কারা ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
যশোর শহরতলীর মণ্ডলগাতি এলাকার বাসিন্দা হেমায়েত ওই অঞ্চলের একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান বলে পুলিশ দাবি করেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাহিয়ান জানান, একটি অস্ত্র মামলায় জামিন পেয়ে আজ সন্ধ্যার পর জেলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়েছিলেন হেমায়েত। কারা ফটকের সামনেই অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র সুপার শাজাহান আহমেদ বলেন, রাত ৮টার ১০-১৫ মিনিট আগে মুক্তি পেয়ে হেমায়েত কারা ফটকের সামনের রাস্তা পর্যন্ত গিয়েছিলেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে এসে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দ শুনে কারাগারের ফটকে দায়িত্বরত রক্ষীরা দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করে। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলের একটি দুই দফা পড়ে যায়। দুর্বৃত্তরা সেটি ফেলেই পালিয়ে যায়।
সিনিয়র জেল সুপার আরো বলেন, রক্ষীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান। কারারক্ষীরা তাঁকে জানান, দুর্বৃত্তরা হেমায়েতকে লক্ষ্য করে প্রথমে দুটি গুলি ছোড়ে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরে থাকা হেমায়েতের মাথায় আরেকটি গুলি করে পালিয়ে যায়।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হেমায়েতকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই শাহাবুল। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই হেমায়েতের মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি থানার এসআই নাহিয়ান জানান, হেমায়েতের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে হত্যা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র মামলাও আছে। হেমায়েত শহরতলীর মণ্ডলগাতি এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালনা করতেন বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
এদিকে হেমায়েত হত্যাকাণ্ডের খবর জানামাত্র রাত সোয়া ৮টার দিকে জেনারেল হাসপাতালে যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হেমায়েত আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন, তবে তাঁর কোনো পদ-পদবি ছিল না।
নিহত হেমায়েত উদ্দিন মণ্ডলগাতি গ্রামের জিন্নাত ওরফে জিন্নাত কসাইয়ের ছেলে। হেমায়েতের মা রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন, মণ্ডলগাতি এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসীর সঙ্গে হেমায়েতের পূর্ব শত্রুতা ছিল, তারাই হেমায়েতকে হত্যা করেছে।