Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

MD-SALIM-HOSSENখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০১৬: নূরুল আমীণ সিকদার : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্য্যনারায়নপুর গ্রামের মৃত হোছেন আলীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী ফেরত মো: সেলিম হোসেন (২৫) কে ২৯ মে সন্ধ্যায় কাপাসিয়া জামিরারচর জলসিড়ি এক্সপ্রেস পরিবহনের গ্যারেজ থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর প্রায় এক মাসেও সন্ধান পায়নি তাঁর পরিবার। এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং ৫৩৭) করেছে নিখোঁজ সেলিমের বড় ভাই মুনসুর আলম।
নিখোঁজ সেলিম হোসেনের বড় ভাই মুনসুর আলম জানান, আমার ছোট ভাই মো: সেলিম হোসেন কাপাসিয়া ব্রাক অফিসের পাশে জলসিড়ি গ্যারেজে ইঞ্জিন মিস্্ির হিসাবে কাজ করত। গত ২৯ মে দুপুর বেলায় সেলিম বাড়িতে পরিবারের সাথে খাওয়া দাওয়া শেষে গ্যারেজে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে একটি কালো পাজারো গাড়ী (নং ১৪-১৬৮০) ও একটি সাদা হায়েজ গাড়ীতে ১২/১৩ জন লোক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আমার ভাইকে অনন্যা ক্লাসিকের এম ডি বাবুল খান, জলসিড়ি গ্যারেজের মালিক কামাল ও ইউপি সদস্য গোলাম ছামদানীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। নিখোঁজ সেলিমের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। নিঁেখাজের পর প্রায় এক মাস হলে অনেক খোঁজাখোঁজির পরও সেলিমের কোনো সন্ধান করতে পারেনি।

নিখোঁজ সেলিমের মা মনোয়ারা বেগম ও চাচা মহসীন জানান, সেলিম ৮ বছর মালয়েশিয়া ছিল। গত বছরের প্রথম দিকে ঢাকা বাংলা কলেজের পাশে ফেরদৌসকে বিয়ে করে কাপাসিয়ার আমাদের নিজ বাড়িতে বসবাস করি। সেলিম তাঁর স্ত্রী ও আমাদের নিয়ে সুখের সংসারে ছিল। সেলিম দেশে এসেই তাঁর আগের পেশা ইঞ্জিন মি¤্রি হিসেবে জলসিড়ি গ্যারেজে কাজ করে। ওখান থেকেই তাঁকে কে বা কাহারা তুলে নিয়ে যায়। এখন আমাদের সংসারে কান্নার আহাজারি ছাড়া আর কিছু নেই। মা আরও বলেন, আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।

কাপাসিয়া থানার সাধারণ ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, সেলিম হোসেনের গাঁয়ের রং শ্যামলা, মুখ মন্ডল গোলাকার ও উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। তাঁর পড়নে জিন্সের প্যান্ট, হাফ হাতা গেঞ্জি এবং হালকা দাড়ি আছে। কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সেলিম হোসেন নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর বড় ভাই সাধারণ ডায়েরী করেছে।