খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২২ জুন ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সম্ভাব্য সবকিছু করার নিশ্চয়তা দিয়েছে মুসলিম বিশ্বকে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সংকল্পবদ্ধ।
আজ সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমরা সবসময় এই শান্তিপ্রিয় ধর্মের কল্যাণের জন্য চেষ্টা করবে। আমাদের সরকার কোনো ভাবেই সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে সহ্য করবে না। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে সরকার।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী জোট মুসলমানদের ঐক্যের একটি সুযোগ বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ভাবমূর্তি বজায় রাখতে আমি দেশের সকল নাগরিকের প্রতি সংযত ও দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বশান্তি রক্ষায় দক্ষিণ এশিয়াসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অর্জনকে সমুন্নত রাখতে আমরা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যমুক্ত একটি শান্তির আবাস ভূমিতে পরিণত করার জন্য গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এই লক্ষ্যে আমরা পেট্রোলসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের অপব্যবহার এবং সকল ধরনের অস্ত্রের বিস্তার রোধে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যাব। এর পাশাপাশি আগামী দিনগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের যেকোনো শুভ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আমরা একযোগে কাজ করে যাব।’
সংরক্ষতি নারী এমপি বেগম আখতার জাহানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার যেহেতু একটি রূপকল্প-২০২১ সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে, সে কারণে তার দৃষ্টি কেবল এক বছরে সীমাবদ্ধ নয়। আওয়ামী লীগ ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ পেরিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জনপদে পরিণত করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৪-তে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথম সারির উন্নত দেশগুলোর সমপর্যায়ে উন্নীত করার রূপরেখা অঙ্কিত হয়েছে।