খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২২ জুন ২০১৬: বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা নষ্ট করার জন্যই বিএনপি-জামায়াত জঙ্গি গোষ্ঠী চোরাগুপ্তা হামলায় মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি হওয়ার দিকে যাচ্ছি এবং এগিয়ে যাবই। কারণ এটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সরকারের এই ধারাবাহিকতা নষ্ট করার জন্য বিএনপি তথা জঙ্গি গোষ্ঠী চোরাগুপ্তা হামলায় মেতে উঠেছে। এরা বিদেশি নাগরিকসহ মন্দিরের পুরোহিত, শিক্ষকসহ নিরীহ অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের হত্যা করছে।’
তিনি বলেন, বিশ্ববাসী ভুলে যায়নি ২০০১ সালের পরে গোপালকৃঞ্ছ মহুরিকে মাথায় পিস্তল টেকিয়ে হত্যা করার কথা। দেশবাসী ভুলে যায়নি বাঁশখালীতে গান পাউডার দিয়ে একটি পরিবারকে পুড়িয়ে হত্যা করার কথা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত মুসলিম বিশ্ব কর্তৃক ত্যাজ্য ইসরাইলি মোসাদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশে ত্রাস এবং নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এরা প্রধানমন্ত্রীর উচ্চশিক্ষিত পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা করারও ষড়ডন্ত্র করছে। কারণ তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা। ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।
সরকারই এসব গুপ্তহত্যা করাচ্ছে বিএনপি নেত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, এই সেই খালেদা জিয়া যিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে বলেছিলেন, শেখ হাসিনাই নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিল। এরা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা, প্রাক্তন এমপি মমতাজ হত্যাসহ কোনো হত্যাকাণ্ড নিয়েই ওই সময় এই সংসদে আলোচনা করতে দেয়নি।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ‘এই শক্তিধর দেশগুলো নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। এরা চোরকে বলে চুরি করতে। আর গৃহস্থকে বলে সাবধান থাকতে। এরা সর্প হইয়া দংশন করে, ওঝা হইয়া ঝাড়ে। তারা একদিকে লাদেনের প্রশংসা করে, আবার প্রয়োজন পড়লে সমুদ্রে ফেলে দেয়। এরা একই শক্তি। এই শক্তি এবং দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীরা জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে গুপ্তহত্যায় মেতে উঠেছে। এসব দেশ চোরাগুপ্তা হত্যাকাণ্ড নিয়ে সময়ে-অসময়ে বাংলাদেশের সমালোচনা করেছে। এখন ওই শক্তিধর দেশগুলোতে একের পর এক, গন্ডায় গন্ডায় মানুষ খুন হচ্ছে। এমনকি এমপিকেও হত্যা করা হচ্ছে।’
মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের প্রতি জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছেন এবং বিশ্ববাসীকে আশ্বস্থ করেছেন বাংলাদেশ গণতন্ত্রকামী দেশ, এখানে উগ্রবাদীদের স্থান নেই। এই বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি অচিরেই ঘটবে।
বাজেট আলোচনায় আরো অংশ নেন মাহবুব উল আলম হানিফ, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, এইচ এন আশিকুর রহমান, দবিরুল ইসলাম, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী প্রমুখ