Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

Dhorola-Photo-23.6.16-(1)খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০১৬: জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম : পার্শ্ববতী দেশ ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে উজানের পাহাড়ী ঢল ও পানি বৃদ্ধির সাথে সাথেই ধরলার তীব্র ভাঙ্গনে দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সোনাইকাজী ও রামপ্রসাদ ওয়ার্ডের ওপর দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত ওয়াপদা বাঁধটি ভেঁঙ্গে যাওয়ার উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজারেরও অধিক অধিবাসী আতংকে রয়েছে। এর মধ্যে হু-হু শব্দে প্রবেশ করছে পানি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে। হুমকির মধ্যে রয়েছে শতশত বাড়ীঘরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্রীজ কালভার্ট।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধরলার তীর ঘেষে রয়েছে ¯্রােতহীন মরানদী নামের একটি নদী। এক সময় এ নদীটি খর¯্রােত ছিল। কিন্ত কালের বিবর্তনে নদীটি হারিয়ে যায় ধরলার কড়াল গ্রাসে। আস্তে আস্তে নদীটির বুকে পলি মাটি জমাট বাধঁলে এলাকার লোকজন আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সর্বনাশা ধরলা সেস্বপ্ন চুরমার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত ওয়াপদা বাঁধটি আবার তার কড়াল গ্রাসে ভেঙ্গে যাওয়ায় ¯্রােতহীন মরানদীর বুক দিয়ে হু-হু শব্দে ঢুকছে পাহাড়ী ঢল ও পানি। ফলে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী সদর ও বড়ভিটা ইউনিয়নের রামপ্রাসাদ, সোনাইকাজী, প্রানকৃঞ্চ, পশ্চিম ও পূর্ব ধনিরাম ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজারেরও অধিক অধিবাসী।
এ ব্যাপারে শিমুলবাড়ী গ্রামের নজরুল ইসলাম মাষ্টার জানান, বাধঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় আমাদের আর কোন অবশিষ্ট থাকলো না। আমাদের অন্য কোন পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই।
এ সময় স্থানীয় বয়বৃদ্ধা আমেনা জানান, আমাদের সব শেষ বাবা। আমরা এখন কোন আশায় ধরলা পাড়ে বসবাস করব। সবইতো শেষ হয়ে গেল।
স্কুল পড়–য়া চন্দন ও রিপা জানায়, যেভাবে ধরলার পানি বাধঁ ভেঙ্গে প্রবেশ করছে তাতে আমাদের বাড়ীঘরে পানি ঢুকতে সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাছাও তারা জানায়, আমরা আর স্কুলে যেতে পারবো না। কারন যাওয়ার পথতো আমাদের একটাই সেটাও ধরলা কেড়ে নিল।
স্থানীয় ইউনুছ জানান, আমাদের নিজস্ব উদ্যোগে বাঁঁধটি রক্ষায় বাঁশের খুটি দিয়ে পাইলিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারলাম না। তিনি দ্রুততম সময়ে সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন এখনেই ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা না নিলে আরও অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এজাহার আলী জানান, এই মুহুর্তে মরানদীর মুখে ধরলার ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে না পারলে শতশত বাড়ীঘরসহ ব্রীজ, কালভার্ট, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষতি হবে।