Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০১৬: পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ড একজনের পরিকল্পনায় ৯ জন ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত অন্তত পাঁচজন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতির ব্যাপারে চট্টগ্রামের পুলিশ কর্মকর্তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও শিগগিরই এই হত্যারহস্য উন্মোচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, মিতু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী, হত্যাকারী এবং তাদের সহযোগীদের ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত পাঁচজন এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে মিত্যু হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি কোনো পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মিতু হত্যাকাণ্ডের পুরো পরিকল্পনা একজন মাত্র ব্যক্তি করেছেন। আর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে ভাড়াটে খুনিরা। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছে চারজন এবং পাঁচজন আশপাশে অবস্থান নিয়ে সহায়তা করেছে। এ ছাড়া মিতুকে হত্যা করতে কমপক্ষে পাঁচ দফা চেষ্টা চালিয়ে সাত দফায় হত্যাকারীরা সফল হয়েছে বলে পুলিশ তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে।
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে গত দুদিন চট্টগ্রামের একাধিক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কেউ এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে বলেছেন, আমরা শিগগিরই এ ব্যাপারে আপনাদের ভালো খবর দিতে সক্ষম হব। এ জন্য আরেকটু ধৈর্য ধরতে হবে।
এদিকে পুলিশ মিতু হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কারাগার থেকে জঙ্গি সদস্য ফুয়াদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তার কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পায়নি বলে সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি ফুয়াদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। এ ছাড়া মিতু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী হিসেবে গ্রেপ্তারকৃত শাহজামান রবিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ।
তবে মিতু হত্যাকাণ্ডে তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যাওয়া সেই তিন যুবকসহ মোট পাঁচ হত্যাকারী এখন পুলিশ হেফাজতে। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন ও এর পরবর্তী অবস্থার পুরো চিত্র এখন পুলিশের হাতে এসে গেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শিগগিরই এই হত্যারহস্য উন্মোচিত হবে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন ‘জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি’।