খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০১৬: ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকা নিয়ে গণভোটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশটির মুদ্রা পাউন্ডের ওপর। মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দাম সর্বোচ্চ পরিমাণ কমে গেছে। পাউন্ডের দাম কমতে কমতে এক পর্যায়ে এসে ১ দশমিক ৩৩০৫ ডলারে ঠেকে। এই পতনের হার ১০ শতাংশের বেশি। ১৯৮৫ সালের পর এত নিচে আর কখনো নামেনি পাউন্ডের দাম।
ভোটের ফল গণনা শুরুর আগে পাউন্ডের দাম উঠেছিল ১ দশমিক ৫০ ডলার। যুক্তরাজ্য ইইউতে থাকবে—এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এমনকি ইউরোর বিপরীতে পাউন্ডের দাম ৭ শতাংশ কমে ১ দশমিক ২০৮৫ ইউরোতে দাঁড়ায়। ডলারের বিপরীতে ইউরোর দামেও ধস নামে। প্রায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমে যায় দাম। যা ইউরো মুদ্রা চালু হওয়ার পর একদিনে সর্বোচ্চ কমার হার।
গতকাল মধ্যরাতে পাউন্ডের দাম বেড়ে ১ দশমিক ৫ ডলার ছিল। ইইউ ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে প্রচারকারী নিজেল ফারাজে বলেছিলেন, ইইউতে যুক্তরাজ্যের থেকে থাকার জোরালো সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু ভোট গণনার প্রথম ফলেই যখন দেখা যায়, ইইউ ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে বেশি মানুষ। এ কারণে উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডে পাউন্ডের দাম কমে ১ দশমিক ৪৩ ডলারে দাড়ায়। যা স্থানীয় সময় বেলা তিনটার পর আরও একধাপ কমে।
মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০০৮ সালে দেশটিতে যখন অর্থনৈতিক সংকট চলছিল, তখনো এত বাজে অবস্থা হয়নি।
ভোটের এই প্রভাব পড়েছে দেশটির শেয়ারবাজারেও। আজ শুক্রবার লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে এফটিএসই ১০০ সূচক খোলার মুখেই ৮ শতাংশ ধস নামে। এর প্রভাব শুধু যুক্তরাজ্যেরই নয়, জাপানের টোকিও শেয়ারবাজারেও পড়েছে। সেখানে নিককি ২২৫ সূচক ৮ শতাংশের বেশি কমে যায়। জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। সোনার দামও বাড়ছে লাফিয়ে।