খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২৬ জুন ২০১৬: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার বলেছেন, ‘মিতু হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হলে এই ব্যাপারে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ওয়াসিম ও আনোয়ার। এরা দুইজন আজ আদালতে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে স্বীকারোক্তি করেছে।’
রোববার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে চট্টগ্রামের লালদীঘির সিএমপির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ইকবাল বাহার বলেন, ‘কারা, কি কারণে এবং কেন এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে তা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হলে আমরা এই ব্যাপারে খোলাসা করে কিছুই বলতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যা ছিল টার্গেট কিলিং। তাকে টার্গেট করেই হত্যা করা হয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’
বাবুল আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওনাকে আটক করা হয়নি। নজরদারিতেও রাখা হয়নি। বাদী হিসেবে ওনাকে ডেকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মিতু হত্যায় কারা জড়িত থাকতে পারে এবং কেন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাশ ভট্টাচার্যসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আজ দুপুরে মিতু হত্যা মামলায় ওয়াসিম ও আনোয়ার নামে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাদের আদালতে হাজির করা হয়।