খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২৬ জুন ২০১৬: কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও: বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতেই বিএনপি-জামায়াত দেশে গুপ্ত হত্যা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্তিক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।তিনি আরও বলেন, বাংলার মাটিতেই এসব গুপ্ত হত্যাকারীদের বিচার হবে। বাংলাদেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছন তিনি।
রবিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের দারাজগাঁও হামিদ আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের নব-নির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধন শেষে বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দারাজগাঁও হামিদ আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাড. আলতাফুর রহমান খাঁনের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, দেবীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে দেশের মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। আর সেই প্রক্রিয়ায় সরকার পতন না হওয়ায় এখন দেশব্যাপী গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত।
বাংলাদেশকে অকার্যকর এবং এখানে সংখ্যালঘুরা অনিরাপদ তা প্রমাণ করার জন্যই এমন হত্যাকান্ড ঘটানো হচ্ছে বলে দাবি করে রমেশ সেন বলেন, বাংলাদেশে পুরোহিত হত্যাকান্ড নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বিএনপি-জামায়াত এটিই চাইছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিরা নেতিবাচক ধারণা পোষণ করুক। তিন মাসের আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত ব্যর্থ হয়ে এখন গ্রামে গিয়ে নিরহ মানুষদের হত্যা করছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করেন জঙ্গি উৎপাদনের কারখান কেবল মাদ্রাসা বা কওমি মাদ্রাসা। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। শুধু মাদ্রাসা নয়, এখন অনেক ইংরেজি মাধ্যমের মেধাবীরাও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাচ্ছে। চলমান হত্যাকান্ডের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, পঞ্চগড় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে প্রায় ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ভবন নির্মাণ করা হয় । ফলে ঐ এলাকার প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে পাঠদানের সুযোগ পাবেন।