খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৭ জুন ২০১৬: হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় পাথরবোঝাই ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার বেড়তলা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। এতে রাস্তার দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত তিন ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ট্যাংক-লরি সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর খন্দকার (৪০), সাধারণ সম্পাদক আলী আজম (৪৫) ও দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান মিয়া (৫৫)। তাঁদের তিনজনের বাড়ি সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা সকালে তিন যাত্রীসহ মোটরসাইকেলটি থামিয়ে দেন। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোর অভিযোগে পুলিশ তাঁদের কাছে টাকা দাবি করে। মোটরসাইকেল আরোহীরা টাকা না দিয়ে স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করলে পুলিশের এক সদস্য মোটরসাইকেলের পেছনে লাঠি ছুড়ে মারেন। লাঠির আঘাতে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা পাথরবোঝাই একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় শত শত জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের একটি রেকার ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা রেকারটি ভাঙচুর করে।
ক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকে টাকা টাকা না পেয়ে লাঠি ছুড়ে মারা সেই পুলিশ সদস্য সরাইল হাইওয়ে থানা থেকে চলে গেছেন। ওই থানায় এখন গেট বন্ধ করে ভেতরে দুজন কনস্টেবল বসে আছেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চলছে।’