খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৭ জুন ২০১৬: একটু শঙ্কা ছিল তাঁদের ঘিরে, একটু সংশয়। গ্রুপপর্বে মাঠজুড়ে দাপট নিয়ে খেলেও গোলের সামনে গেলেই কেমন অচেনা লাগছিল জার্মানিকে। ম্যাচের আবহে তাই একটি প্রশ্নই ঘুরছিল বারবার – গোল এ কোন জার্মানি? গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচে মাত্র ৩টি গোল করেছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। নকআউট পর্বের আগে যেন একটু সংশয়ও ঘিরে ধরেছিল, এই জার্মানি পারবে তো চেনা খুনে রূপে ফিরতে?
সব সংশয়, সব প্রশ্নের জবাব আজ দিয়ে দিলেন ড্র্যাক্সলার-গোমেজরা। লিলে স্লোভাকিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে জার্মানি। সেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হবে কাল স্পেন-ইতালি ম্যাচের জয়ী দল।
ঠিক সময়েই নিজেদের ফিরে পেয়েছেন জার্মানরা। ‘গোলখরা’ কাটানোর লক্ষ্যে কাল মারিও গোটশের বদলে নিখাঁদ স্ট্রাইকার মারিও গোমেজকে দলে ফিরিয়ে আনেন জার্মানি কোচ জোয়াকিম লো। তাতে জার্মানির খেলার ধরনেও এল পরিবর্তন। দ্রুত পাসিং, জায়গা বদল করে নেওয়ার বিষয় তো ছিলই, সঙ্গে দুই উইং থেকে অবিরত ক্রসও এলো বক্সে।
প্রথম গোলটি অবশ্য এসেছে ‘অচেনা’ উৎস থেকে। ম্যাচের ৮ মিনিটে ক্রুসের নেওয়া কর্নার ফিরিয়ে দিয়েছিল স্লোভাক রক্ষণ। কিন্তু সেটি গিয়ে পড়ল বক্সের বাইরে থাকা জেরোম বোয়াটেংয়ের কাছে। সেখান থেকে দুর্দান্ত শটে ম্যাচে জার্মানির প্রথম গোলটি করেছেন এই ডিফেন্ডার, দেশের হয়ে এটি তাঁর নিজেরও প্রথম গোল।
ওই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে ১৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় জার্মানি। কিন্তু মেসুত ওজিলের শট ঠেকিয়ে দেন স্লোভাকিয়া গোলকিপার। ১৯৭৬ ইউরোতে উলি হোয়েনেসের পর এই প্রথম কোনো জার্মান খেলোয়াড় পেনাল্টি মিস করলেন। তবে তাতে জার্মানি দমে গেলে তো! প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছেন গোমেজ। অবশ্য তাতে জুলিয়ান ড্র্যাক্সলারের দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ের প্রশংসা করতেই হবে। প্রথমার্ধে গোল গড়ে দেওয়া ড্র্যাক্সলার দ্বিতীয়ার্ধে নিজেই গোলদাতা। ৬৩ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ভলি করে জড়িয়ে দেন জালে।
তবে শুধু গোল নয়, ম্যাচজুড়ে জার্মানির খেলা দেখে গ্রুপপর্বের গোলমূখে অচেনা জার্মানিকে মনে হয়েছে যেন কোনো সুদূর অতীত।