খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৭ জুন ২০১৬: মিচি বাতশুয়েইর গোলের চেয়ে উদ্যাপনটাই হলো বেশি দুর্দান্ত। কিন্তু সেটা এতটুকুও বাড়াবাড়ি মনে হলো না। গোলটি হয়তো সাধারণ ছিল, কিন্তু যে জাদুকরি মুহূর্ত সৃষ্টি করে গোল বানিয়ে দিলেন এডেন হ্যাজার্ড, সেটার সঙ্গে দারুণ মানিয়ে গেল ওই উদ্যাপন। হ্যাজার্ড–জাদুতে ভর করেই হাঙ্গেরিকে ৪-০ উড়িয়ে দিল বেলজিয়াম।
বাতশুয়েইর গোলটি হলো ৭৮ মিনিটে। হ্যাজার্ড মাঠ ছাড়লেন ৮১ মিনিটে। কিন্তু এর মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গেল, এই ম্যাচের গল্প ভবিষ্যতে যেভাবেই করা হোক, সেটি হবে হ্যাজার্ডময়। ৭৮ মিনিটের ওই জাদুকরি মুহূর্ত চোখে ভাসছে এমন অবস্থাতেই যে আবারও হাজির হলেন হ্যাজার্ড, থলেভর্তি জাদু নিয়ে। দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে হাঙ্গেরিয়ান ডি-বক্সের বাইরে বল পেলেন, বক্সের মধ্যেই তিনজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে যে শট নিলেন, সেটি আটকানো সম্ভব ছিল না গাবর কিরাইয়ের পক্ষে।
অবশ্য আজ কিরাই যেভাবে খেলছিলেন, তাতে ও রকম জাদুকরি কিছুরই দরকার হয়েছে বেলজিয়ামের গোল আদায় করতে। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করা বেলজিয়ামের গোলবন্যা তো আটকে রেখেছেন ওই কিরাই। ম্যাচের ১০ মিনিটেই কেভিন ডি ব্র“ইনার ক্রস থেকে গোল করেন অল্ডারওয়ের্ল্ড। এরপর বারবার চেষ্টা করেও গোল করতে পারছিলেন নাহ্যাজার্ড-ডি ব্র“ইনারা। অবশ্য খানিকটা দোষ রোমেলু লুকাকুর। হ্যাজার্ড-ডি ব্র“ইনা-নাইনগোলানদের দুর্দান্ত সব পাস কাজে লাগাতে পারছিলেন না তিনি। আর ৩৫ মিনিটে ডি ব্র“ইনার ফ্রি-কিকটি কীভাবে আটকালেন কিরাই, সেটিই অবিশ্বাস্য ঠেকছিল।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা ওভাবেই চলছিল। বেলজিয়ামের একের পর এক আক্রমণ ও হাঙ্গেরির পালটা আক্রমণে শেষ ষোলো পর্বের সেরা খেলা হিসেবে নাম লেখিয়ে ফেলল ম্যাচটি। ম্যাচটি যখন ওভাবেই শেষ হবে ভাবা হচ্ছিল, তখনই হ্যাজার্ডের ওই জাদুকরি ২ মিনিট। এর আগ পর্যন্ত সেরা খেলোয়াড়ের প্রশ্নে হ্যাজার্ডের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিলেন ডি ব্র“ইনাও।
শেষ মুহূর্তে সান্ত্বনাসূচক একটি গোল পেতেও পারত হাঙ্গেরি, কিন্তু পালটা আক্রমণে উল্টো চতুর্থ গোলটি করেন ইয়ানিক কারাসকো।