খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৭ জুন ২০১৬: গোবিন্দগঞ্জ গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাত উপজেলায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। দোকানদারা ক্রেতাদের আকর্ষণ করানোর জন্য সবধরণের বাহারী পোষাক দোকানে রেখেছে। বিশেষ করে শহরের মার্কেটেই এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দাম একটু বেশি হলেও পছন্দ মত কাপড় কিনতে পেয়ে ক্রেতারা অনেক খুশি এবং বিক্রেতারাও আশানুরূপ বিক্রি করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করছে।
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ইদুল ফিতর। ঈদ যতই কাছে আসছে, ততই যেন ঈদের কেনাকাটা বাড়ছে। গাইবান্ধা জেলা শহরের সালিমার সুপার মার্কেট, তরফদার ম্যানশন, মিনাবাজার, ইসলাম প্লাজা, পৌর মার্কেট, প্রাণগোবিন্দ প্লাজাসহ সব কয়টি মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যাচ্ছে। সারাদিন প্রচন্ড গরম থাকায় দিনের বেলায় ভীর কম থাকলেও রাতে শহরের মার্কেট গুলোতে ক্রেতারা ভীঢ় করছেন বেশি। থ্রি পিচ, শাড়ি, জামা-কাপড়, শার্ট-প্যান্ট-পাঞ্জাবী, জুতা-স্যান্ডেলের দোকানে প্রচুর ভীড়। বাদ যায়নি কসমেটিকের দোকানেও। দর্জিরা এখন অনেক ব্যস্ত। কাজের চাপে অনেক দর্জি অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে রেডিমেট কাপড়ের দোকানগুলোতেই গভীর রাত পর্যন্ত বিক্রি চলছে। ঈদের রাত পর্যন্ত এভাবে বিক্রি চলবে বলে বিক্রেতারা আশা করছেন।
এবারের ঈদে বাজারে স্থান করে নিয়েছে চায়না, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানী শাড়ী, কাপড় ও থ্রী পিস। তবে এই সব শাড়ী কাপড়ের দাম নি¤œ আয়ের লোকদের নাগালের বাইরে থাকায় তাদের একমাত্র ভরসা দেশী ও গাউন কাপড়। শহরের কাচারীবাজার কাপড় পট্টিতে কয়েকটি দোকানের মালিক-কর্মচারী জানান, দুই দিন থেকে মহিলা ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্যনীয়। ইন্ডিয়ান, চায়না, পাকিস্তানি গজ কাপড়, ছিট কাপড়, থ্রি-পিস, লোন, বাটিক, কাশ্মিরী, জর্জেট, অরগ্যান্ডি, নেট কাপড়, রাবেয়া, লিলেন জাতীয় বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশী পপলিন, ভয়েল কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে। তবে দামও গতবারের চেয়ে একটু বেশি।