Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

36খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০১৬: মোঃ মোস্তাক আহমেদ মনির, জামালপুর: আর মাত্র কয়েক দিন বাকি ঈদুল ফিতরের। হাজারো ব্যস্ততা আর গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ, তার পরও থেমে নেই ঈদ বাজার রোজার পরিমান যত বাড়ছে ততই মার্কেট মুখী হচ্ছেন মানুষ। ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে জমে উঠেছে সরিষাবাড়ী উপজেলার সবত্র। যারা যানজট ও জনজট এড়াতে চায় তাদের আনা গোনাই বেশি মার্কেট গুলোতে। সকাল থেকে রাত পযন্ত উপজেলার শতাধিক মার্কেট গুলো ক্রেতাদের কেনাকাটায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। বিক্রি বেশি থাকায় বিক্রেতাদের যেন দম ফেলার সময় নেই। এবারে আবহাওয়া ভালো থাকার কারনে এতো বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সকল বিক্রেতারা। বিভিন্ন শপিংমল গুলোতে শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাহারি পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে প্রতিটি দোকানেই, বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে সব কটি বিপণি বিতান। প্রায় সর্বত্রই দেশিয় এবং ভারতীয় ডিজাইনের কাপড় ও শাড়ি সংগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। ভারতের কাশ্মীরি ডিজাইন, সিকোয়েন্সের কাজ, জরি সুতোর বাহারি নকশার শাড়ি, পাকিস্তানি ঝলমলে কাপড়ের বাহারি সুতোর কাজ করা কাপড়, উজ্জ্বল রঙের জর্জেট, টিস্যু প্রভৃতি কাপড়ের জরি, চুমকি, সুতি কাপড়ে দেশীয় আল্পনার সুতো, এপিক ও স্কিন বুটিক বাটিকের পোশাক সম্ভার দারুণ আকর্ষন করেছে ক্রেতাদের। পুরুষদের জন্য দেশী ব্রান্ডের মধ্যে ফেইথ- ১১, ক্যাটস আই, মনসুনরেইন, নেক্্রট, শীতল, পাস পয়েন্ট, রঙ, রেক্স, সপুরা সিল্ক, হ্যান্ডিবাজার প্রভৃতির সঙ্গে ভারত পাকিস্তানের নানা ডিজাইনের পাঞ্জাবী চীন থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ডিজাইনের শার্ট-প্যান্ট ও টি-শার্টের সমাহার উল্লেখ করার মতো। আবার যারা নিজেদের পছন্দের নকশায় ঈদের পোশাককে সাজাতে চান তারা ছুটছেন দর্জি বাড়ীর দিকে।
সরিষাবাড়ী আরামনগর বাজারের মাতৃ-স্মৃতি বস্ত্রালয়ের মালিক মোঃ মুছা মন্ডল বলেন, বেচা-কেনা ভালোই হচ্ছে। তবে আগামি দিন গুলোতে আরো বেশি বেচাকেনা হবে বলে আশা করি । তিনি আরও বলেন আমাদের এখানে মেয়েদের দেশি-বিদেশি পোশাকের বিপুল সমারোহ রয়েছে। গত কয়েক দিনের চাইতে বর্তমানে বিক্রি অনেক টা বেড়েছে। তন্নী ফ্যাশন এর মালিক বাসুদেব সাহা জানান, আর এখন যারা অগ্রিম কাপড় কিনছেন তারা মুলত ভিড় আর ভোগান্তি থেকে বাচতে আগেভাগেই কিনে ফেলছেন। আর এবার তো কোন নায়ক-নায়িকাদের নামে পোশাকের নাম দেয়া হয়নি তাই আমরা খুব ভালো ভাবেই সব কাপড় বিক্রি করতে পারছি। রিয়াদ গামেন্টস এর মালিক আঃ মান্নান জানান, ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। ক্রেতারা আসছেন, কেউ আবার কাপড় পছন্দ করে রাখছেন, তারও সেই একই কথা আগামি দিন গুলোতে বেচাকেনা বাড়বে বলে সে আশা করছে। সরিষাবাড়ী পৌর মার্কেটে ছেলে ও মেয়ের জন্য কেনাকাটা করতে আসা ইব্রাহীম হোসাইন লেবু বলেন ভিড় কম থাকতে ছেলে-মেয়েদের জন্য কেনাকাটা শেষ করবো তাই আসলাম, কেনাকাটাও করলাম । আর ভিড় বাড়ার আগে কাপড় কিনলে ঠকার কোন সম্ভাবনা নেই। কেনাকাটা করতে আসা খাইরুন নাহার মিম নামে এক মেয়ের সাথে কথা হলে সে বলেন, আগে কাপড় কিনলে ভালো ভাবে কাপড় পছন্দ করা যায়। আর ভালো করে কাপড় দরদামও করার সুযোগ পাওয়া যায়। বেশি ভিড় হলে দোকানের কর্মচারীরা ভালোভাবে কথাও বলবে না তাই আগেই কেনাকাটা শেষ করছি। তবে সব বিক্রেতাদের অভিযোগ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতোই সব ধরনের কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি হাঁকা হচ্ছে। মার্কেট মালিদের দাবি আইন শৃংখলা সাবাবিক এবং বিদ্যুতের লোডশেডিং না থাকলে গত বছর গুলোর চেয়ে এবার তারা আয়ের মুখ দেখতে পাবে।
উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটের একাধিক দোকানদারের সাথে কোন পোশাকটা বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানতে চাইলে তারা সবাই বলেন এবার ঈদে সবচেয়ে বেশি বিক্রি ও সবচেয়ে বেশি চাহিদা হচ্ছে “লেহেঙ্গা”।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ীর থানার অফিসার ইনর্চাজ বিল্লাল উদ্দিন জানান, ঈদকে সামনে রেখে সব ধরনের আইন শৃংখলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আমাদের আইন শৃংখলা বাহিনীর টিম উপজেলার সবত্র টহল দিচ্ছে।