খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০১৬: মো. শাহজাহান কবির : সিন্ডিকেটের দখলে শ্রীবরদীর খাদ্য গুদাম। এতে করে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ উপজেলার সাধারণ কৃষক। সিন্ডিকেট সদস্যদের দৌড়াত্ব এবং বল প্রয়োগের কারণে সাধারণ কৃষকরা লাঞ্চিত হচ্ছে তাদের হাতে। ফলে প্রকৃত কৃষকরা তাদের কষ্টার্জিত ধান দিতে পারছেনা সরকারি খাদ্য গুদামে।
জানাগেছে, ২৮ জুন ভেলুয়া ইউনয়নের কৃষক জাকির হোসেন খাদ্য গুদামে ধান দিতে আসলে সিন্ডিকেট সদস্যরা তার ধান গুদাম থেকে বের করে দেয়। পরে ওই কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বিষয়টি অবহিত করলে নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা নাছরিন নিজে গুদামে এসে ধান দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এনিয়ে কৃষক জাকির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত তিন দিন যাবত খাদ্য গুদামে ধান দেওয়ার জন্য লাইন দিয়েছি। কিন্তু সিন্ডিকেট সদস্যদের বল প্রয়োগের কারণে ধান দিতে পারছি না। ২৮ জুন মঙ্গলবার গুদামে ধান দিতে গেলে পৌর শহরের খামারিয়া পাড়া মহল্লার সিন্ডিকেট সদস্য জুয়েল আকন্দ আমাকে লাঞ্চিত করে ধান গুদাম থেকে বের করে দেয়। পরে আমি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম স্যারের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, “জোড় যার মুল্লুক তার, এ ব্যাপারে আমার কিছুই করার নাই”। সিন্ডিকেট সদস্যরা যেভাবে গুদামে ধান দিচ্ছে আমি সেভাবেই ধান নিচ্ছি। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার কাছে সুবিচার না পেয়ে ওই কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিনের স্বরনাপন্ন হন। বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে খাদ্য গুদামে গিয়ে কৃষক জাকির হোসেনকে ধান দেওয়ার সুযোগ করে দেন। এব্যাপারে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে, তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন জোড় যার মুল্লুক তার এমন কথা আমি বলি নাই। তবে কৃষক জাকিরের ধান জুয়েল গুদাম থেকে বের করে দিয়েছিল। এনিয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ইবনে হোসাইনের সাথে কথা হলে, তিনি বলেন ঘটনাটি শুনেছি। তবে সিন্ডিকেটদের ব্যাপারে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেন নাই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা নাছরিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।