Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

22খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৯ জুন ২০১৬: এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বেশ আক্ষেপই করেছিলেন স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। এমনিতেই বড় দলগুলোর বিপক্ষে নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলে না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে এসেও তাঁরা পাননি নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ। বিদায় নিয়েছিলেন মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলে। বৃষ্টির বাধায় সেই তিনটি ম্যাচও তাঁরা ঠিকমতো খেলতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিসর বাড়ানোর দাবিটা তখন উঠেছিল জোরেশোরেই। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে নতুন করে। ২০১৮ সালের পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিসর বাড়ানোর সিদ্ধান্তই হয়তো নিতে যাচ্ছে আইসিসি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান ফরম্যাট অনুযায়ী শিরোপা জয়ের চূড়ান্ত লড়াইটা হয় ১০টি দলের মধ্যে। র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটটি দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সুযোগ পায় প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে আসা দুটি দল। তবে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে মূল পর্বে আসতে পারে চারটি দল। সে ক্ষেত্রে শিরোপা জয়ের চূড়ান্ত লড়াইটা হবে ১২টি দলের মধ্যে। আইসিসির চলমান বার্ষিক সভায় এই সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্তই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন হংকং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী টিম কাটলার। ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি যেটা শুনেছি তা হলো, প্রথম রাউন্ডের দুটি গ্রুপ থেকে চূড়ান্ত পর্বে যাবে দুটি করে দল। পরবর্তী রাউন্ডটি হবে সুপার-১২। এ মুহূর্তে এই ফরম্যাট নিয়ে সবাই সম্মত হয়েছে বলেই মনে হয়েছে। আশা করছি, আরও দুটি দল অংশ নিতে পারবে বাছাইপর্বে। সে ক্ষেত্রে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮টিতে। যদিও সেটা নিশ্চিত না। কিন্তু যেটা অনেকটাই নিশ্চিত তা হলো ১৬টি দলের অংশগ্রহণে চূড়ান্ত পর্ব খেলা হবে ১২টি দল নিয়ে। এটা একটা সঠিক পদক্ষেপ।’
এ বছর যদি এই নতুন পদ্ধতিতে খেলা হতো, তাহলে চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পেত নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টির কারণে প্রথম রাউন্ডের তিনটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ খেলারই সুযোগ পায়নি ডাচরা। একটি ম্যাচে খেলতে পেরেছে মাত্র ৬ ওভার। অপর রাউন্ডে তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জিতেও বিদায় নিতে হয়েছে জিম্বাবুয়েকে।