খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৯ জুন ২০১৬: কয়লা দিয়ে পানি ফিল্টার করার সময় পরিবেশ নষ্ট না হওয়ায় রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে পরিবেশ নষ্ট হবে কেন, তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কেউ কেউ বলছে রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কারণে নাকি সুন্দরবনের পরিবেশের ক্ষতি হবে। তারা কী কারণে এ কথা বলছে সেটা বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন, কয়লা দিয়েতো পানি ফিল্টার করা হয়। পানি ফিল্টার করার সময়তো পরিবেশ নষ্ট হয় না। রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে পরিবেশ নষ্ট হবে কেন?
যারা বলছেন যে, রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কারণে সুন্দরবনের পরিবেশের ক্ষতি হবে তাদের উদ্দেশ্য কি তাও জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও যে কোনো ধরনের অরাজকতা নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও যে কোনো ধরনের অরাজকতা রোধসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আওয়ামী লীগ সরকার।
সব ধরনের নাশকতা ও সহিংসতার সাথে জড়িত ও হুকুমদাতাদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃংখলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, এজন্য পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ কার্যকরভাবে দমনের লক্ষ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ সংশোধন করা হয়েছে। জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ছয়টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, সব ধরনের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ওয়ারেন্টভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ মালামাল উদ্ধারে পুলিশের নিয়মিত ও বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কূটনৈতিক ও বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তায় স্থানীয় পুলিশ কর্তৃক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ঢাকা-৬ আসনের জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে ফ্রান্স, ইতালি, জার্মান, স্পেন, ইউকে, সুইজারল্যান্ড, নেদআরল্যান্ড, সুইডেন, পর্তুগাল থেকে কৃষিভিত্তিক, টেক্সটাইল, কেমিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড অ্যান্ড অ্যালাইড লেদার প্রডাক্ট, পাওয়ার প্ল্যান্ট, ফার্সাসিউটিক্যাল, টেলিকমিউনিকেশন, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বা যৌথ বিনিয়োগের নিশ্চয়তা ও আশ্বাস পাওয়া গেছে।