খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৯ জুন ২০১৬: যমুনা নদীতে আলাদা রেলসেতু নির্মাণসহ ছয়টি প্রকল্পে ১৩ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সঙ্গে এই ঋণচুক্তি সই হয়। মোট ছয়টি প্রকল্পে সংস্থাটি ৩৭তম প্যাকেজের আওতায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি ইয়েন ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (১ ইয়েন সমান দশমিক ৭৭ টাকা) এর পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি টাকা।
শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বুধবার দুপুরে জাইকার সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল ইসলাম ও জাপানি রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে চুক্তিস্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
যমুনা রেলসেতু নির্মাণে ১৮৯ কোটি টাকা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সীমান্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়নে ২ হাজার ২০০ কোটি, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মেট্রোরেল প্রকল্পে ৫ হাজার ৮১৮ কোটি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ২ হাজার ৯১২ কোটি টাকা এবং বিদ্যুৎ বিভাগের জ্বালানি সাশ্রয় ও উন্নয়ন প্রকল্পে ৯২২ কোটি টাকা ঋণ দেবে জাইকা। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পে ১ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এ ঋণের বার্ষিক সুদের হার মাত্র দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। সংস্থাটির সুদের হার বাংলাদেশের অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), রাশিয়া ও চীনের তুলনায় অনেক কম।
যমুনা নদীর ওপর প্রায় পৌনে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পৃথক একটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুতে ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছরের শেষ দিকে এই সেতুর নির্মাণ শুরু করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।