খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০১৬: অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদকে জানানো হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারায় আইন লঙ্ঘন ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, দায়িত্ব পালনকালে নানা অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি তাকে শুনানির জন্য ডেকে পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। শুনানিতে অনিয়মের বিরুদ্ধে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা মোতাবেক অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ আবদুল হামিদের দেওয়া অবৈধ ঋণ সুবিধার ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থায়ী কমিটির শুনানি সম্প্রতি শেষ হয়। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গভর্নর ৪৬ ধারা অনুযায়ী অপসারণ করতে পারেন। স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনে আবদুল হামিদকে অপসারণের সুপারিশ করে।
জানা গেছে, মুন গ্রুপকে বে আইনিভাবে ঋণ দেওয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান খানকে সব কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হামিদ এ নির্দেশ উপেক্ষা করে তাকে একাধিক বিভাগের দায়িত্ব দেন। মোট ১০ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে গত ১৭ ফেব্র“য়ারি চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক নীতিমালা অনুযায়ী, ২৫ লাখ থেকে ১ কোটি পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন, পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করতে পারেন এমডি। তবে অর্পিত ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণসুবিধা দিয়েছেন আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।