খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০১৬: ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করার অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমডিকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। অপসারণের বিষয়টি অবহিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক মহাব্যবস্থাপক স্বাক্ষরিত চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
মেয়াদের শেষ সময়ে এমডিকে অপসারণের বিষয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে অনুমোদন দেন গভর্নর। এর আগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করার ব্যাপারে শুনানি শেষে তাঁকে অপসারণের সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থায়ী কমিটি। এমডি হিসেবে তাঁর মেয়াদ ছিল আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।
জানা গেছে, ২০১১ সালে অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ প্রধান শাখা থেকে তানাকা ট্রেডকম ইন্টারন্যাশনালকে ১২০ কোটি টাকার ঋণসুবিধা দেয়। পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই এমডি নিজে জামানত পরিবর্তন করে দেন। যদিও এ ক্ষমতা তাঁর ছিল না। এরপর ২০১৫ সালে ১১ কোটি টাকা ঋণ নবায়ন করে দেন এমডি, পাশাপাশি ৪৬ কোটি টাকা ঋণখেলাপি হওয়ার পরও নিয়মিত দেখানো হয়। ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৩ লঙ্ঘন করে ২০০ কোটি টাকা ঋণপত্র সীমা দুবার নবায়ন করেন এমডি। এ ছাড়া সানমুন গ্রুপের কর্ণধার মিজানুর রহমান মিজান ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে ব্যাংককে ঝুঁকিতে ফেলেছেন। এমন কয়েকটি অনিয়মের কারণেই তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
শুরুতে এমডি সৈয়দ আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ৯০৬ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ আনা হলেও পরে ৭৯২ কোটি টাকা অনিয়মের জন্য অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ৪৩৫ কোটি টাকা ইতিমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে। শুনানি শেষে ২১ জুন স্থায়ী কমিটি তাঁকে অপসারণের জন্য গভর্নরের কাছে সুপারিশ জমা দেয়।