খোলা বাজার২৪, শনিবার, ০২ জুলাই ২০১৬: বাংলাদেশের হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হলে ভারতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবে না। প্রয়োজনে পেট্রাপোল ও বেনাপোল সীমান্ত আটকে দেওয়া হবে। এমনকি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসও বন্ধ করে দেওয়া হবে। শুক্রবার এভাবেই হুমকি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার রাজ্য সভাপতি ও বিধায়ক দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ প্রায় প্রতিদিনই খুন হচ্ছে। সেই দেশের সরকারের উচিত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা। গতকাল শুক্রবার কলকাতার ধর্মতলা চত্বরের ওয়াই চ্যানেলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছিল। কিন্ত বর্তমানে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে একের পর এক আক্রমণ ঘটছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
দিলীপ ঘোষ হুমকি দেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যদি এসব হত্যাকাণ্ড থামাতে না পারে তবে পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দরের সামনে আমরা ধরণায় বসব এবং দরকার হলে দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত হামলার ঘটনা আমরা কোনোমতেই মেনে নেব না।’
দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, বর্তমানে ভারতে যে কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে, তারা হিন্দুদের প্রতি সহানুভুতিশীল। বিশ্বের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার মুখ বুজে আর সহ্য করবে না ভারত।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে বামপন্থীরা পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে আন্দোলন করে, অথচ বাংলাদেশে যখন হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তখন এই বামপন্থী কিংবা তৃণমূল কংগ্রেসকে পথে দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে তারা অদ্ভূতভাবে নীরবতা পালন করছে। একই অভিযোগ তোলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সাবেক সভাপতি রাহুল সিনহাও।
রাহুল সিনহা এবং দিলীপ ঘোষ দুজনেই বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের সুসপম্পর্ক রয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার সে দেশে মৌলবাদী জামায়াতবিরোধী যে পদক্ষেপ নিয়েছে এর জন্য সাধুবাদ জানান তাঁরা।