খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৪ জুলাই ২০১৬: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হত্যাযজ্ঞে যেসব জঙ্গি অংশ নিয়েছিল, তাদের একজনের নাম খায়রুল। গণমাধ্যমে তার ছবি দেখে বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা খায়রুলকে চিনতে পারেন।
খায়রুল বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চোপিনগর ইউনিয়নের বৃ-কুষ্টিয়া গ্রামের দিনমজুর আবু হোসেনের ছেলে। দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে খায়রুল বড়।
রোববার বিকেলে খায়রুলের বাবা আবু হোসেন ও মা পেয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, খায়রুল বৃ-কুষ্টিয়া দারুল হাদিস সালাদিয়া কাওমি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত। পরে বিহিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে।
চোপিনগর ইউনিয়নের সদস্য শাহজাহান আলী বলেন, প্রথমে গণমাধ্যমে ছবি দেখেই গ্রামে জানাজানি হয়। পরে রোববার বিকেলে পুলিশ একটি ছবি নিয়ে খায়রুলের বাড়িতে আসে। প্রথমে তার বাবা-মা ছবিটি চিনতে পারছেন না বলে জানান। পরে পুলিশ কর্মকর্তারা খায়রুলের ছবি দেখতে চাইলে বিষয়টি বেরিয়ে আসে। পরে পুলিশ খায়রুলের মা-বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়।
খায়রুলের মা পেয়ারা বেগম বলেন, এক বছর ধরে খায়রুল নিখোঁজ ছিল। পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার জন্য আট-নয় মাস আগে সাংবাদিকের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু থানায় জিডি করতে হবে বলে আর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা দেশি-বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে ২০ জনকে হত্যা করে। পরে শনিবার কমান্ডো অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভিযানের পর ১৩ জিম্মিকে উদ্ধার করে তারা। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।