খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৪ জুলাই ২০১৬: জেলার ফুলবাড়ীতে বেসরকারী স্কুল ,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা গত জুন মাসের বেতন তো দুরের কথা ঈদুল ফিতরেরর বোনাস পাননি। গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন নেওয়ার জন্য সকাল থেকেই ব্যাংক গুলোয় ভিড় জমান। সারা দিন অপেক্ষা করে বোনাস না পেয়ে হতাশ হয়ে ঘরে ফিরে যান। ফলে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে পড়েছে তাদের।
সোনালী ব্যাংকের ফুলবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক মজিবর রহমান ভুঁইয়া বলেন, সকাল থেকেই কুড়িগ্রামে যোগাযোগ করে শিক্ষকদের বোনাস উত্তোলনের আদেশ পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এমপিও(মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) ভুক্ত মাধ্যমিক স্কুল ৩১টি, মাদ্রাসা ১৪টি, কলেজ তিনটি মিলে প্রায় নয়শত ৫২ জন শিক্ষক কর্মচারী চাকুরি করেন। গত জুন মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের নতুন স্কেলে বোনাস দেওয়ার কথা ঘোষনা করে। সেই মোতাবেক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বিল তৈরি করে। গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক কর্মচারীরা বোনাস পাওয়ার আশায় সকাল থেকেই ব্যাংক গুলোতে ভিড় করেন।
ফুলবাড়ী আদর্শ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম জানান, বোনাস বিল নিয়ে সকাল থেকে অপেক্ষা করে বিকেলে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।
নাওডাঙ্গা সকুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাতেমা খাতুন বলেন, ঈদ বোনাস দেওয়ার ঘোষনা পেয়েই শিক্ষক কর্মচারীদের বোনাস বিল ফরশ তৈরি করে অফিস সহকারিকে ব্যাংকে পাঠিয়ে কোনো লাভ হলো না। পশ্চিম ফুলমতি স্কুলের সহকারি শিক্ষক রুহুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মে মাসের বেতন জুন মাসে পেয়েছি আর এখন ঈদে বোনাস পেলাম না। বেতনের টাকা মুদি দোকানসহ অন্যান্য খাতে খরচ হয়েছে। এখন হাত শূন্য। বাবামাসহ স্ত্রী সন্তানের পোশাক কেনার উপায় নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছাইফুল ইসলাম জানান, আমি এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানাতে পারবো না। তবে জুন মাসের এমপিও আসেনি। শিক্ষক কর্মচারীরা মে মাসের বেতন জুন মাসে তুলেছে । তাদের ভেঙ্গে পড়ার কোনো কারন নেই। তারা সকলেই ঈদের পরে বেতন-বোনাস পাবেন।