খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০১৬: শিমুলিয়া ঘাটে সাংবাদিক এম.তরিকুল ইসলামের উপর হামলা হয়েছে। সিবোট ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সংবাদ প্রকাশ করায় এ হামলা চালায় ঘাট ইজারাদার আশরাফ হোসেনের লোকজন। পরে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক নের্তৃবৃন্দ জানতে পেরে তাকে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ‘শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ’ শিরোনামে মঙ্গলবার দৈনিক সংগ্রামের পেছনের পাতায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে সিবোট ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিস্তারিত বর্ণনা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে ঘাট ইজারাদার আশরাফ হোসেনের লোক কান্দি পাড়ার মোতালেবে হোসেনের পুত্র ছাব্বির হোসেন (২২) ও তার দলদল স্থানীয় দৈনিক সংগ্রামের লৌহজং প্রতিনিধি ও বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক এম তরিকুল ইসলামের উপর হামলা চালায়।
এ সময় তাকে মাওয়া ঘাটের একটি হোটেলে জিম্মি করে রাখে। সাংবাদিক তরিকুল কৌশলে বিষয়টি বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মাসুদ খানকে জানালে তিনি তাৎনিক বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ সাথে সাথে শিমুলিয়া ঘাটের একটি হোটেল থেকে সাংবাদিক তরিকুলকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে। বিষয়টি তাৎনিকবাবে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রশিদ সিকদারকে অবিহিত করা হয়।
বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মাসুদ খান বলেন, যে ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার নিন্দা করার ভাষা নেই। কেবল সন্ত্রাসীদের পক্ষেই এ ধরণের কাজ করা সম্ভব। তবে সাংবাদিক সমাজ দুর্বল নয়। এক জন সাংবাদিককে মেরে ঘাটের দুর্নীতি মাটি চাপা দেয়া যাবেনা। এখন থেকে ঘাট নিয়ে আরো ব্যাপক লেখা হবে। দেখি কতজন সাংবাদিকে ওরা পেটাতে পারে। পুলিশকে ধন্যবাদ তরিৎ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।
এ ঘটনার আরো নিন্দা জানিয়েছেন বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের সাদারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের লৌহজং প্রতিনিধি শেখ সাইদুর রহমান টুটুলসহ মুন্সীগঞ্জের সাবাদিক নের্তৃবৃন্দ।
এ ঘটনার আরো নিন্দা জানিয়েছেন বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের সাদারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের লৌহজং প্রতিনিধি শেখ সাইদুর রহমান টুটুলসহ মুন্সীগঞ্জের সাবাদিক নের্তৃবৃন্দ।
জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, সাংবাদিক পিটিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকা যায়না। বরং তাতে তার অতীত কর্ম মনে করিয়ে দেয়। এ ধরণের হামলা করে সাংবাদিকদের দমানো যাবেনা।