খোলা বাজার২৪, রোববার, ১০ জুলাই ২০১৬: নাজুক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের চার ধাপ উন্নতি হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশ নাজুক দেশের তালিকার ৩২ নম্বরে অবস্থান করলেও এবার ৩৬ নম্বরে রয়েছে। তালিকার প্রথমস্থানে রয়েছে সোমালিয়া ও সর্বশেষ অর্থাৎ ১৭৭ নম্বরে রয়েছে নরওয়ে।
নিজস্ব সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক উৎস থেকে সংগৃহীত ঝুঁকি সংক্রান্ত হাজারো নিবন্ধ বিশ্লেষণপূর্বক যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘ফান্ড ফর দ্য পিস’ দ্বাদশতম এ তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় সবচেয়ে নাজুক দেশের নাম রাখা হয় সবার উপরে। এ তালিকা দেশগুলোর স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত, উদ্দিপনা তৈরী এবং কৌশলগত উন্নয়ন এবং গবেষণায় ভূমিকা রাখবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিশ্বের ১৭৮টি দেশ নিয়ে সংস্থাটির করা এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভূটান রয়েছে ৭৮তম স্থানে, গতবার ছিল ৭৪ নম্বরে; ভারত রয়েছে ৭০ নম্বরে, গতবার ছিল ৬৮ নম্বরে; নেপাল ৩৩ রয়েছে নম্বরে, গত বছর ছিল ৩৬ নম্বরে; মিয়ানমার ২৬ নম্বরে, গত বছর ছিল ২৭ নম্বরে; পাকিস্তান ১৪ নম্বরে, গত বছর ছিল ১৩ নম্বরে এবং আফগানিস্তান রয়েছে ৯ম স্থানে, গতবার ছিল ৮ম অবস্থানে। অর্থাৎ ভুটান এবং আফগানিস্তানের উন্নতি হয়েছে; অবনতি হয়েছে পাকিস্তান, মিয়ানমার এবং নেপালের। মালদ্বীপ ৯১ নম্বরে অপরিবর্তিত রয়েছে।
তালিকায় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো করেছে শ্রীলঙ্কা। গতবার দেশটির অবস্থান ছিল ৩৪ নম্বরে; এবার ৪৩ নম্বরে।
‘ফ্র্যাজাইল স্টেটস ইনডেক্স ২০১৬’- নামের ওই তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান সঙ্কটের দেশ, এমনকি মহাদেশের সীমান্ত ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা যে কত কম সময়ে বৈশ্বিক রূপ নিতে পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
যুদ্ধ, শান্তি চুক্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক আন্দোলন কীভাবে কোনো দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে বা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় তা বিশ্লেষণে ১২ বছর ধরে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকসহ ১২টি সূচকের ভিত্তিতে এই তালিকা করে আসছে ওয়াশিংটনভিত্তিক এ সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের প্রভাবের কথা উল্লেখ করা হয়। এতে ইউরোপে ১০ লাখের বেশি আশ্রয়প্রার্থী পাড়ি জমায় এবং তাদের কারণে ইউরোপে আতঙ্ক তৈরি হওয়ায় অনেক দেশ আগের ভালো অবস্থান হারিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।