Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

33খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১১ জুলাই ২০১৬: আলিফ হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোরের বরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ভূয়া সনদ বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ভূয়া সনদ বাণিজ্য সিন্ডিকেট চক্রের অন্যতম সদস্য শিক্ষক লুৎফর রহমান প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসান ঢাকা ধানমন্ডি ক্যাম্পাস (শাখা) থেকে ভূয়া সনদ সরবরাহ ও অনলাইনে দিচ্ছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভূয়া সনদের বাণিজ্য করে রাতারাতি অগাধ ধন-সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন বলে একাধিক সূত্র এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া সনদ বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মোহনপুর উপজেলা থেকে কালীগঞ্জহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের (শিক্ষক) সহকারী লাইব্রেরিয়ান-এর ভূয়া সনদ আনলাইনে প্রেরণ করেছেন। কিšত্ত কোর্ড নম্বর ভূল হওয়ায় এবারো ব্যর্থ হয়েছেন। এদিকে আবারো কোর্ড নম্বর সংশোধন করে সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য নানা তৎপরতা শুরু করেছেন।
অনুসন্ধানে চাঞ্চল্যর তথ্য পাওয়া গেছে, তানোরের কালীগঞ্জহাট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওহাব হোসেন লালুর বোনকে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ করা হয়। কিšত্ত তার দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজশাহী ক্যাম্পাসের সনদ থাকায় এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা ধানমন্ডি ক্যাম্পাস ‘শাখা’ ব্যতিত দেশের অন্যান্য সকল ক্যাম্পাস অবৈধ। যে কারণে তিনি ব্যাকডেটে সনদ সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব তাকে ব্যাকডেটে সনদ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের কাছে নিয়ে যায়। লুৎফর রহমান এক লাখ ২০ হাজার টাকায় দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ধানমন্ডি শাখা থেকে ব্যাকডেটে সনদ পাইয়ে দেয়ার চুক্তিবদ্ধ হয় ও ১০ হাজার টাকা অগ্রিম গ্রহণ করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন। কিšত্ত কোর্ড নম্বর ভূল হওয়ায় এবারো তিনি অনলাইনে সার্টিফিকেট সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এদিকে ভূয়া সনদ সংগ্রহ ও আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আব্দুল ওহাব ও লুৎফর রহমানের কথোকাপন প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। এব্যাপারে কালীগঞ্জহাট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওহাব হোসেন লালু বলেন, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদে লাইব্রেরিয়ান পদে জনবল নিয়োগ করা হয়েছে সত্য, তিনি বলেন, দেখা যাক কি হয়। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব বলেন, লুৎফর রহমান এক লাখ ২০ হাজার টাকায় সনদ সংগ্রহের প্রতিশ্র“তি দিয়ে ১০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছেন এখানে তার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। এব্যাপারে বরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, তার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত হয় তাহলে দোষের কি। তিনি বলেন, কাজ হোক তাহলে আপনার ‘সাংবাদিক’ প্রাপ্য আপনিও পাবেন এটা নিয়ে খবর করার দরকার নাই। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তিনি অবগত হয়েছেন কিšত্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে সংশ্লিস্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে লুৎফর রহমানকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।