খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১১ জুলাই ২০১৬: তানোর ,রাজশাহী: রাজশাহীর তানোরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন অতঃপর কাউন্সিলরের বাড়িতে রাত্রি যাপনের পরে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে আর বিয়ের খরচ ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার নামে প্রেমিকের ১৮ হাজার টাকা জরিমানা ও আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। তানোর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড তালন্দ সুমাসপুর গ্রামে ঈদের তিন দিন আগে এই ঘটনা ঘটেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর তাসির উদ্দীন ও স্বেচ্ছা সেবক দলের নেতা শরিতুল্লার নেতৃত্বে ওই বিয়ে সম্পন্ন ও জরিমানার ১৮ হাজার টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করা হয়েছে।
জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার সিন্দুকাই-গাইনপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা ও তানোর পৌরসভা বিএম কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে তালন্দ সুমাসপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র ও তালন্দ লোলিত মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র দেলোয়ার হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এদিকে প্রেমিক দেলোয়ার হোসেন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর শারীরিক অসঙ্গতি দেখা দিলে সে বিয়ের জন্য তার প্রেমিক দেলোয়ারকে চাপ দেয়। কিšত্ত দেলোয়ার বিয়ে করতে অসম্মতি এমনকি তাদের মধ্যেকার প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে। এদিকে ঈদের তিনদিন আগে নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে অনশনে বসে। ওদিকে খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর অভিভাবকগণ তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। কিšত্ত পরের দিন আবারো ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে দোলোয়ারের বাড়িতে অনশনে বসে। এবার বিয়ে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় কাউন্সিলর তাসির উদ্দীন ওই ছাত্রীকে তার বাড়িতে এক রাত্রী রেখে পরের দিন দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেনমহরে বিয়ে দেয়। এদিকে বিয়ের খরচ ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার নামে দেলোয়ার হোসেনের বাবার কাছে থেকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হলেও সেই টাকা কাউকে না দিয়ে আতœসাত করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাসির উদ্দিন জানান, ঈদের ৩ দিন আগে মেয়ে প্রেমিক দেলোয়ারের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসে। কিšত্ত দেলোয়ার পালিয়ে যাওয়ায় ওই ছাত্রীকে তার বাড়িতে এক রাত্রি রেখে পরের দিন প্রেমিক দেলোয়ারকে ডেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে দেয়া হয়। ছেলের বাবার কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, টাকা তার হাতে পড়েনি কে বা কারা টাকা নিয়ে আতœসাত করেছে সেটা তার জানা নাই। এব্যাপারে ছেলের পিতা মিজানুর রহমান টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, কাউন্সিলর তাসির উদ্দীন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শরিতুল্লাহ্র চাপে তিনি টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর্জা আব্দুস সালাম বলেন, এমন ঘটনা তার জানা নাই, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।