খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০১৬: রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে জঙ্গি হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নিখোঁজ ১০ তরুণের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান ওরফে আবুল বাশার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ছবি প্রকাশের পর পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনিও দেশে অথবা বিদেশে কোনো জঙ্গিডেরায় অবস্থান করছেন বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।
বাশারের বাবা সিরাজ উদ্দিন রাজশাহীর তানোর উপজেলার লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ধনাঢ্য সিরাজ উদ্দিনের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বাশার সবার বড়।
গত ১ জুলাই গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ ‘হলি আর্টিজান বেকারিতে’ হামলাকারী যুবকদের মধ্যে নিবরাস ইসলাম ও গত বৃহস্পতিবার শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে হামলা চালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত আবীর রহমানও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা দুজনও ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। দুটি হামলার সঙ্গে জড়িতরাই বেশ কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
বাসারুজ্জামানের পরিবার জানিয়েছে, তিনি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। ৬/৭ মাস আগে অফিসের কাজে দুই মাসের জন্য মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি সেখান থেকে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। এমনকি তিনি পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি।
তার বাবা সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘৬/৭ মাস আগে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাইনি।’
এ বিষয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
বাশারের মামা আবুল কাশেম তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। তিনি জানান, ২০০৭ সালে নর্থ সাউথে ভর্তি হওয়ার পর বাড়ির সঙ্গে তার যোগাযোগ কমে যায়। বাশার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ত। দুই বছর আগে সে বিয়ে করে। তারপর থেকে সে তেজগাঁওয়ে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতো।
বিয়ের আগে তিনি একটি বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছেন বলেও তার মামা শুনেছেন।