খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০১৬: ঢাকা: রাজউকের ফ্ল্যাট কিনলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সহজ শর্তে স্বল্পসুদের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেবে। এ ঋণে সুদের হার হবে শতকরা সাড়েআট ভাগ। কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে ২৫ বছর। ঋণ প্রদানের জন্য রাজউক, ফ্ল্যাটের বরাদ্দপ্রাপ্ত গ্রাহক ও ব্যাংকের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হবে। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকানা পরিবর্তন করতে হলে ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
আজ এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও আবরার এ আনোয়ার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে রাজউক ১৭৯টি ভবনে ১৫ হাজার ৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে। এরমধ্যে আট হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে এসব ফ্ল্যাট হস্তান্তর শুরু করা হবে। বেসরকারিভাবে নির্মাণ করা ফ্ল্যাটের চেয়ে এসব ফ্ল্যাটের মূল্যে অনেক কম। প্রতি বর্গফুটের মূল্য ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। এরমধ্যে অর্ধেক মূল্য সুদমুক্তভাবে চার বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। অবশিষ্ট মূল্য ৯ ভাগ সুদে আট বছরে কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, এখানে উন্নতমানের স্কুল, খেলার মাঠ, মার্কেট, লেকসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। তা ছাড়া এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও উত্তম। এখান থেকে মেট্রোরেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মতিঝিল বা সচিবালয়ে এলাকায় যাওয়া যাবে। এসব ফ্ল্যাট নির্মাণ সম্পন্ন হলে বিপুল সংখ্যক লোকের আবাসন সমস্যার সমাধান হবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক রাজউকের ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণ সুবিধা চালু করায় অনেকেই ফ্ল্যাট কিনতে পারবে এবং সরকারের সবার জন্য আবাসন সুবিধার সম্প্রসারণ হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য ২১৪ দশমিক ৪৪ একর জমির ওপর উত্তরায় রাজউক এসব ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে। এখানে মোট আয়তনের প্রায় ৪৫ শতাংশ জায়গায় সবুজ বেস্টনি, স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ, শপিংমল ইত্যাদি গড়ে তোলা হচ্ছে। দৃষ্টি নন্দন লেক ছাড়াও এখানে বেসমেন্ট ও নিচতলায় গড়ি পার্কিং সুবিধা থাকবে। বর্তমানে রাজউক ৪০টি এবং গণপূর্ত বিভাগ ৩৯টি ভবন নির্মাণ করছে। এছাড়াও পূর্বাচলে ৬০ হাজার এবং ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় ১১ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে রাজউক।