খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০১৬: নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার সাহাবউদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমির অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র জিসানকে (১৪)সন্ত্রাসীদের পিটুনিতে ৭ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে মৃত্যুর সাথে যুদ্ব করে অবশেষে গত বৃহস্পতিবার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করে মৃত্যুর কাছে হেরে যায় জিসান।
জানা যায়, গত ঈদের দিন জিসান সহপাঠিদের নিয়ে ভৈরব এলাকায় আনন্দ উৎসব শেষে নিজ বাড়ি উদ্দেশ্যে নরসিংদীর ইটাখলা থেকে মনোহরদী গামী একটি বাসে উঠে । পরে জিসান ও তার বন্ধুরা শিবপুর সোনাকোড়া সিএন্ডবি এলাকায় পৌছলে বাসের ড্রাইভার-হেল্পারসহ সহযোগী সন্ত্রাসীরা মিলে জিসানসহ অন্যসব বন্ধুদের আম গাছের ডালা দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে।একপর্যায়ে সহপাঠিরা পিটুনি খেয়ে দৌড়ে পালালেও জিসান বাসের ড্রাইভার-হেল্পার ও তাদের ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ছুটতে পারেনি। জিসানকে একা পেয়ে ড্রাইভার-হেল্পারসহ সন্ত্রাসীরা মিলে গাছে ডালা দিয়ে জিসানকে মাথায় ও বুকে পিঠে পিটিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে রা¯তার পাশে ফেলে রেখে যায়।
পারিবারিক সূত্রে আরো জানা যায়, ইটাখলা থেকে বাসটি প্রথমে মনোহরদীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও শিবপুর এসে থেমে যায়। একপর্যায়ে বাসে থাকা সকল যাত্রীদের নেমে যেতে বলা হয়। নেমে যাওয়ার কথা বললে বাসে থাকা যাত্রীরা ড্রাইভার ও হেল্পারের দিকে ক্ষ্যাপে যায়। অবস্থার বেগতিক দেখে বাধ্য হয়ে ড্রাইভার বাসটি নিয়ে মনোহরদীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রীদের এ রকম আচরনে ড্রাইভার ও হেল্পার ক্ষ্যাপে গিয়ে এলাকার সন্ত্রাসীদের ফোন করে সামনের রাস্তায় বসিয়ে রাখে। পরে বাসটি শিবপুর সোনাকোড়া সিএন্ডবি এলাকায় পৌছলে পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীদের পিটুনিতে বেইশ কিছু যাত্রী আহত হয়। এ সময় তাদের পিটুনিতে জিসানও গুরুতর আহত হয়।স্থানীয় লোকজন জিসানকে উদ্বার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে হাসপাতালে জীসান মারা যায়। জিসানের বাড়ি মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দি গ্রামের মস্তোফা ও সেলিনা বেগমের ছেলে ।
এ ব্যাপারে শিবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।