Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

8kখোলা বাজার২৪, রোববার, ১৭ জুলাই ২০১৬: জামিন খারিজ করে দেওয়া হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শফিক রেহমানকে আপিল করার অনুমতি দিয়ে তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন চেয়ে করা লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়ে রোববার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
শফিক রেহমানকে তিন সপ্তাহ এবং রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আসাদুজ্জামান পরে বলেন, “শফিক রেহমানকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রয়োজন মনে করলে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিতে বলেছে।”
এ মামলার অগ্রগতি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে একটি সম্পূরক প্রতিবেদনও আদালত জমা দিতে বলেছে বলে এই আইনজীবী জানান।
গত ৭ জুন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্টের বেঞ্চ শফিক রেহমানের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৬ জুন লিভ টু আপিল করেন শফিক রেহমান। ১৪ জুলাই চেম্বার বিচারপতির আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অপহরণের লক্ষ্যে’ তার সম্পর্কে তথ্য পেতে এফবি আইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় দেশটির আদালতে গত বছর প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ড হয়। সেই রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় করা এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন না মঞ্জুর হলে যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান হাই কোর্টে আবেদন করেন, যার ওপর শুনানি শেষে ৭ জুন হাই কোর্ট আবেদন খারিজ করে দেয়।
রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর মামলায় দুই দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয় বিএনপি ঘনিষ্ঠ এই সম্পাদককে। ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে জয় সংক্রান্ত কিছু তথ্য ও গোপনীয় নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের দাবি।
শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমান দাবি করেছেন, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিক’ হিসেবে নিবন্ধ লেখার জন্যই তার স্বামী ওই তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন।