খোলা বাজার২৪, রোববার, ১৭ জুলাই ২০১৬: শেখ তোফাজ্জ্বল হোসাইন নাটোর : নাটোরে গত ছয় মাসে ২৪ জনসহ ২৮ তরুণ নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাদের অধিকাংশের বয়স ১৫ থেকে ২২ বছর।
তরুণ নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পেয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ জনের সন্ধান চেয়ে জিডি করেছেন স্বজনরা। জিডি হওয়া তরুণদের মধ্যে ২৪ জন চলতি বছর এবং ৪ জন গত বছর নিখোঁজ হন। এছাড়া জেলায় আরও অন্তত ১৬ তরুণ নিখোঁজ রয়েছেন বলে গোয়েন্দা পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, নিখোঁজ তরুণদের অধিকাংশের বয়স ১৫ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
নিখোঁজ তরুণদের মধ্যে একজন লালপুর উপজেলার নুরুলাপুর গ্রামের আশিকুর রহমান ওরফে অপু (১৯)। তার বাবা রবিউল ইসলাম একজন দর্জি।
রবিউল বলেন, তার দ্বিতীয় ছেলে অপু কাউকে কিছু না বলে ১ জুন বিকেলে বাড়ি থেকে চলে যান।
আমরা মনে করেছিলাম, অপু ঈদে ফিরে আসবে। ফিরে না আসায় ঈদের আগের দিন ৬ জুলাই লালপুর থানায় জিডি করি। অপু লালপুরের মহরকয়া ভকেশনাল স্কুলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এর আগে চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন নিজ গ্রামের দাখিল মাদ্রাসায়।
তারও আগে সে ঢাকার আশুলিয়ার একটি মাদ্রাসায় হাফেজিয়া পড়ে। তবে পড়া শেষ না করেই বাড়ি চলে আসে। অপু নিয়মিত নামাজ-রোজা করতেন এবং স্বল্প সময়ের জন্য দুইবার তাবলীগেও যান বলে জানান তার বাবা। তিনি বলেন, গ্রামের মামুন নামে এক তরুণের সঙ্গে অপুর বন্ধুত্ব ছিল। নিখোঁজের পর মামুনও অপুর সন্ধান দিতে পারেনি।
অপুর মা আজিজা সুলতানা বলেন, চলে যাওয়ার দুই দিন আগে অপু তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন। সেটা মেরামত করে কিছু নম্বর নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ অপুর সন্ধান দিতে পারেনি।
অপু মাঝেমধ্যে রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন বলে জানান আজিজা।
কিছুদিন থেকে সে ধূমপান করত। নিষেধ করলে রেগে যেত। লালপুর থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার অপু নিখোঁজের ব্যাপারে জিডি হয়েছে জানিয়ে বলেন, অপুর ছবি ও তথ্য বিভিন্ন সংস্থায় পাঠানো হয়েছে।
অপু তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার বড় ভাই ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।