খোলা বাজার২৪, রোববার, ১৭ জুলাই ২০১৬: গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলাকারী জঙ্গিদের বাসা ভাড়া দেওয়া এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকসহ চারজনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে নুরুল ইসলাম নামের এক বাড়িওয়ালাকে রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য না জেনে জঙ্গিদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া ও তাদের ব্যাপারে তথ্য গোপন করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো মুঠোফোনের খুদে বার্তায় ডিএমপি জানায়, শেওড়াপাড়ায় নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে জঙ্গিদের হাতে বানানো গ্রেনেড, কালো পোশাকসহ ব্যবহার্য কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
দুপুরের দিকে তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজমের পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির চারজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনে জঙ্গি–সংশ্লিষ্টতা ও আশ্রয়দাতা হিসেবে সম্পৃক্ততা আছে কি না, এ বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞেস করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।
গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে একই অভিযোগে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম গিয়াস উদ্দিন আহসান, তাঁর ফ্ল্যাটের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবুর রহমান এবং ওই অধ্যাপকের ভাগনে আলম চৌধুরী।
গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে জঙ্গিরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ওই অধ্যাপকের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল। গুলশানে রেস্তোরাঁয় হামলার পর হামলাকারীদের সহযোগীরা দ্রুত ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যায়। ওই বাসা থেকে বালুভর্তি কার্টন, তাদের পোশাকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এসব কার্টনে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।
অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন পরিবার নিয়ে থাকেন মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে। গতকাল রাতে ইকবাল রোডের বাসায় গিয়ে তাঁর পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
গতকাল রাতে গিয়াস উদ্দিনের ইকবাল রোডের বাসায় গেলে বাড়ির ফটক থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা বাসায় কেউ নেই বলে জানিয়ে দেন। পরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁর এক স্বজন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের মধ্যে ভবনের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবুর রহমানকে গোয়েন্দারা গত মঙ্গলবার ভোরে বসুন্ধরার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যান। আলম চৌধুরীকে পরদিন রাত ৮ থেকে ১০টার মধ্যে ওই ভবনের ফ্ল্যাট মালিকদের সভা চলাকালে ধরে নেওয়া হয়।