খোলা বাজার২৪, রোববার, ১৭ জুলাই ২০১৬: কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা সহ ফিলিং স্টেশন বন্ধ করা হয়েছে। গত কাল শনিবার শহরের বিসিক শিল্প নগরী সংলগ্ন এলাকায় ভেজাল তেল বিক্রির অভিযোগে সুরমা ফিলিং স্টেশন পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক ওই পাম্পে সকল প্রকার তেল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ ঠাকুরগাঁও শহরের বিসিক শিল্প নগরী সংলগ্ন এলাকায় সুরমা ফিলিং স্টেশন পাম্পে ভেজাল পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল বিক্রি করে আসছে। এতে বহু মোটর সাইকেল ও ট্রাকের মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঐদিন দুপুরে শহরের আশ্রমপাড়া এলাকার বাসিন্দা হালিম ওই পাম্প থেকে তার মোটর সাইকেলে এক লিটার পেট্রোল কিনেন। তেল কিনার পর তিনি গাড়িটি নিয়ে শহরের উদ্দেশে রওনা হন। কিছু দূর আসার পর তার গাড়িটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে তিনি মোটর সাইকেলটি মেকারের দোকানে নিয়ে আসেন এবং মেকার সার্ভিসিং করার জন্য বলেন। সার্ভিসিং শেষে মেকার তাকে বলেন, গাড়ির পেট্রোলে ভেজাল ছিল। তাই গাড়িটি চলতে চলতে বন্ধ হয়ে যায়। পরে হালিমসহ কয়েকজন ব্যক্তি ওই পাম্পে এসে ভেজাল তেলের কথা বলেন। এসময় পাম্পের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম আরিফ ভেজাল তেলের কথা অস্বীকার করেন। এসময় উভয় পক্ষের মাঝে বাক-বিত্বার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক ঘটনাস্থলে আসেন এবং পাম্পে ভেজাল তেল বিক্রির অভিযোগে সকল প্রকার তেল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক বলেন, ভেজাল তেল বিক্রির অভিযোগে সুরমা ফিলিং স্টেশনে সকল প্রকার তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও পাম্প থেকে তেলের নমুনা নেয়া হয়েছে। এই নমুনা বিএসটিআই-এ পাঠানো হবে এবং তেল পরীক্ষা করা হবে। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকল প্রকার তেল বিক্রি বন্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, ভেজাল তেল বিক্রির অভিযোগে এর আগেও অনেকবার স্থানীয় লোকজন ওই পাম্পটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবারও পাম্পটি চালু করে ভেজাল তেল বিক্রি শুরু করে কর্তৃপক্ষ। একই দিনে অন্য দিকে, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সামনে বেসরকারী নিউ স্কায়ার হাসপাতালে সরকারী ঔষুধ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে আধুনিক সদর হাসপাতালের দু’পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা দোকান গুলি এক ঘন্টার মধ্যে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দিন। সেই নির্দেশনা ফলপ্রসূতিতে নিউ স্কায়ার হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের ভিতরে ডুকে সরকারি চেতনাসক ইনজেকশন পায়। যাতে লাল সবুজের মোড়ক ছিলো। সরকারি ঔষুধ রাখার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ক্লিনিকের মালিক শাহিনকে। ভ্রাম্যমান আদালতের সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক, আধুনিক সদর হাসপাতালের স্যানেটারী ইন্সিপেক্টর ফারুক আক্তার, এনডিসির পেস্কার সাইফুল ইসলাম সহ সদর থানার এএসআই ফরিদা পারভিন ও সঙ্গিয় ফোর্স।