খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০১৬: ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া উগ্রবাদ. গন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর ‘জাতীয় ঐক্যে‘র আহ্বানকে নাকচ করে দিয়ে রবিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্য সম্পর্কে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সমগ্র জাতিকে হতাশ ও হতবাক করেছে। ‘জাতীয় ঐক্যে‘র আহ্বানকে নাকচ করে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমগ্র জাতির প্রত্যাশা ও আকাঙ্খাকে উপেক্ষা করেছেন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ যখন অস্তিত্বের গভীর সংকটে নিপতিত, দেশবাসী যখন আতঙ্কিত তখন প্রধানমন্ত্রীর নেতিবাচক বক্তব্য কার পক্ষে জাতির মনে আজ সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেছেন, জঙ্গিবাদ উগ্রবাদকে দলীয় নয়, জাতীয় সমস্যা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সেনাবাহিনী দিয়ে নয়, জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। দেশে এসব হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হলে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই এসব হত্যাকান্ড বন্ধ করা সম্ভব।
তারা বলেছেন, আজকের সঙ্কটপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দোষারোপের রাজনীতির অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।দোষারোপের রাজনীতি দিয়ে জঙ্গিবাদ উগ্রবাদ দমন করা যাবে না। এতে তাদের লালন পালন হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা সেনাবাহিনী দিয়েও জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব নয়। জঙ্গিবাদ দমনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দরকার। জাতীয় ঐক্য দরকার।
নেতৃদ্বয় ‘যাদের সাথে ঐক্য হলে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ বন্ধ হবে তাদের সাথে ঐক্য হয়েছে’ শীর্ষক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, দেশবাসী জানতে চায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাদের সাথে ঐক্য করেছেন, কারা তারা ? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও সকল স্তরের জনগণকে বাদ দিয়ে ঐক্য কাদের সাথে।
তারা আরো বলেন, আজকে আমাদের এখানে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ উত্থানের ফলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের জন্য একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বলে আমরা মনে করি। জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ রুখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আহ্বান একগুয়েমী নীতি পরিহার করে অলিলম্বে দেশের নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করুন। এ ব্যাপারে আমাদের সকলকে সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে, যাতে করে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের উত্থান বাংলাদেশে না হয়।