খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০১৬: লর্ডস টেস্ট শুরুর আগে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন মোহাম্মদ আমির। বেশির ভাগ কথাবার্তাই হয়েছে বাঁহাতি এই পেসারের টেস্ট প্রত্যাবর্তন নিয়ে। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা খুব বেশি উচ্চারিত হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত সেই কাজটিই করে ফেলেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভর করে পাকিস্তান পেয়েছে ৭৫ রানের জয়। ২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০৭ রানেই গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ডের ইনিংস।
লর্ডসে পাকিস্তান শেষবারের মতো টেস্ট জিতেছিল ২০ বছর আগে, ১৯৯৬ সালে। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, ইনজামাম-উল-হকদের নিয়ে গড়া দুর্দান্ত দলটা জিতেছিল ১৬৪ রানে। এরপর লর্ডসে আরো চারটি টেস্ট খেলে জয়ের দেখা পায়নি পাকিস্তান। দুটিতে হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। তবে ২০ বছর পর মিসবাহ-ইয়াসির-আমিররা যেন ফিরিয়ে আনলেন ওয়াসিম-ইনজামামদের স্মৃতি।
চতুর্থ দিনের শুরুতেই পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। দ্রুত দুটি উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে থামিয়ে দিয়েছিলেন ২১৫ রানে। কিন্তু জয়ের জন্য ২৮৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বড় কোনো জুটিই গড়ে তুলতে পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। সপ্তম উইকেটে ৫৬ রানের ধীরগতির জুটি গড়ে পাকিস্তানকে কিছুটা চিন্তায় ফেলেছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও ক্রিস ওকস। ৩১.৪ ওভার ব্যাটিং করে এই ৫৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন এ দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ৭১তম ওভারে এ জুটি ভেঙে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন ইয়াসির। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও চারটি উইকেট নিয়েছেন এই লেগস্পিনার। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ইংল্যান্ডের সর্বনাশটা অবশ্য করেছিলেন রাহাত আলী। ১৪ ওভারের মধ্যে ইংল্যান্ডের প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যান অ্যালিস্টার কুক, অ্যালেক্স হালেস ও জো রুটের উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিলেন রাহাত।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংসটি এসেছে জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে। ৪৩ ও ৪২ রান করেছেন গ্যারি ব্যালান্স ও জেমস ভিনস।