Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্মের দোহায় দিয়ে মেধাবী তরুণদের জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলায় যারা ম“ দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে মূলোৎপাটন করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধানে প্রতিটি বাহিনীকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে। বাংলাদেশ কোনো দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকবে না। প্রতিটি বাহিনীকে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিজের জীবনকে দেশের জন্য ত্যাগ করার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। কিন্তু যারা নিরাপত্তায় আছেন তাদের যেন আমার জন্য কোনো ক্ষতি না হয়। আমি দেশকে ভালোবাসি। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। দেশের জন্য যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত আছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েই রাজনীতি করি। আমার লক্ষ্য, দেশের মানুষের কল্যাণ করা। প্রতিটি মানুষ যেন মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। আর সেই অনুযায়ী কাজ করছি। এবার দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। যাতে সন্তুষ্ট থেকে সবাই নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যদিও আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু সৎসাহস থাকলে অনেক কিছু করা যায়। আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের চাওয়া, ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে দেশের উন্নয়নের কাজ হোক। একটা সময় ছিল, যখন অন্যের কাছে হাত পাততে হতো। কিন্তু বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।’
তিনি বলেন, ‘গুলশানে হামলা, শোলাকিয়ায় হামলার পেছনে যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, দেশের উন্নতি চায় না, তাদের একটা চক্রান্ত রয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রান্তও রয়েছে।’ তিনি ফ্রান্স, আমেরিকা ও ভারতে সন্ত্রাসী হামলার উদাহরণ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের শক্তি বড় শক্তি। ধর্মের নামে ধর্মান্ধতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। মানুষ খুন করে কীভাবে বেহেশতে যাবে। কী করে একজন আধুনিক শিক্ষিত মানুষ ধর্মান্ধ হয়? আমি আসেম সম্মেলনেও এই প্রশ্ন রেখে এসেছি যে কারা এসব কাজে অর্থ দেয়, অস্ত্র দেয়, প্রশিক্ষণ দেয়। তাদের মূলে কারা আছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
এসএসএফের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত যতজন বিদেশি অতিথি দেশে এসেছেন তারা প্রত্যেকেই এসএসএফের প্রশংসা করেছেন। এসএসএফের সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তাদের আরো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্তানদের সময় দিতে হবে। তাদের দিকে নজর দিতে হবে। তারা কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে এসব খেয়াল রাখতে হবে। তাদের শিক্ষাটাও যেন সঠিক হয়। আসামি ধরছি, বিচার করছি- এটা করলে হবে না। সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।